নিলামে তোলা হচ্ছে ইরাকের ক্ষমতাচ্যুৎ প্রয়াত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ঝোলানো ফাঁসির দড়ি। এরই মধ্যে দড়িটি কিনতে অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দড়িটি কেনার জন্য অনলাইনে এক অজ্ঞাত ক্রেতা ৭০ লাখ ডলার (৫৪৪ কোটি ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৭২ টাকা) দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
লন্ডনভিত্তিক আরবি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আল-আরাবি আল জাদিদ-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইরান, ইসরায়েল এবং কুয়েতের নিলামকারীরা ওই 'ভয়াবহ দড়িটি' পেতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নামতে যাচ্ছে।
সাদ্দামের ফাঁসির দড়িটি ইরাকের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মওয়াফাক আল-রুবাইয়ের কাছে রয়েছে। ২০১৩ সালে তোলা এক ছবিতে দেখা যায়, আল-রুবাই তার নিজ বাসভবনের একটি রুমে সাদ্দামের ব্রোঞ্জের একটি মূর্তিতে দড়িটি জড়িয়ে রেখেছেন।
ইরাকের একজন সিনিয়র রাজনীতিক জানান, ওই ছবিটি প্রকাশের পর দড়িটিকে ঘিরে অনেকের আগ্রহ তৈরি হয়। নিলামকারীদের মধ্যে কুয়েতের দু'জন ব্যবসায়ী, ইরানের একটি ধর্মীয় সংগঠন এবং ইসরাইলের একটি ধনী পরিবার রয়েছে।
খবরে বলা হয়, এরইমধ্যে দড়িটি পেতে আল-রুবাইকে ৭০ লাখ ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন একজন। তবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। ওই নিলাম কবে অনুষ্ঠিত তাও বলা হয়নি।
তবে মানবাধিকার কর্মীরা এ ধরনের নিলামের সমালোচনা করেছেন। আহমেদ সাঈদ নামের একজন বলেন, নিলাম যদি শেষ পর্যন্ত হয়ই, তবে এই অর্থ ইরাকের কোষাগারে সরকারি তহবিলে জমা হওয়া উচিত।
২০১৩ সালের এপ্রিলে আল-রুবাই দি ইন্ডিপেনডেন্টকে বলেন, প্রাক্তন শাসনামলের স্মৃতিগুলো নিয়ে জাদুঘর তৈরি না হওয়া পর্যন্ত তিনি ওই মূর্তি এবং দড়িটি রেখে দিয়েছেন।
তিনি জানান, সাদ্দাম হোসেনকে যখন ফাঁসি দেওয়া হয়, তখন তিনি সেখানে উপস্থিত লোকদের ওই দড়িটির কিছুটা অংশ তার জন্য নিয়ে আসতে বলেছিলেন।
তার মতে, সাদ্দামের ওই আবক্ষ মূর্তির গলায় সেটি জড়িয়ে রাখায় তিনি সঠিক কাজ বলে মনে করেছিলেন।
আল-রুবাই ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইরাকের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্বে দিলেন। ২০০৬ সালে ৩০ ডিসেম্বর সাদ্দামের ফাঁসি দেওয়া হয়।
তথ্যসূত্র : দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট/ বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫/ এস আহমেদ