ছুটি কাটাতে পছন্দের জায়গায় ভ্রমণ অবশ্যই সুখের। কিন্তু সেই দূর-যাত্রায় যদি কিছু বাড়তি মন ভালো করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে, তখন ভ্রমণ-পিপাসু মন আরও ফুরফুরে হয়ে যায়। সেরকমই একটি সুখের মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন থমাস কুক-এর বার্মিংহাম থেকে স্পেনের তেনেরাইফগামী বিমানের যাত্রীরা। বিমান রানওয়ে ছাড়ার আগে যখন ককপিট থেকে শোনা গেল একটি ঘোষণা, 'আমি আপনাদের ক্যাপ্টেন বলছি। আজ আমার কো-পাইলট আমার ছোট্ট মেয়ে।' বুক ভরা গর্ব নিয়ে এক বাবার এই ঘোষণা শুনে আবেগে চোখ ভরে যায় বহু যাত্রীরই। অনেকে বলেই ফেললেন, একেই বলে বাপের বেটী।
সুখ নিঃসন্দেহে আপেক্ষিক। কিন্তু কিছু ঘটনা সব সময় সকলের কাছেই প্রাণ জুড়ানো হয়। তাই খবরটি প্রকাশিত হতেই রীতিমতো দুনিয়া জুড়ে চর্চার বিষয় হয়ে যায় ক্যাপ্টেন পিটার ইলিয়ট ও তার কন্যা বছর তিরিশের লরা ইলিয়ট। পিটার ৩০ বছর ধরে বিমান চালাচ্ছেন। অভিজ্ঞ পাইলট। পিতার স্বপ্ন সত্যি করে মেয়ে লরাও ২০০৯ সালে পাইলট হিসেবে যোগ দেন থমাস কুক-এ। মাত্র ১৮ বছর বয়সে লরাকে বিমান চালানোয় হাতেখড়ি দেন পিটার। বর্তমানে লরা সিনিয়র ফার্স্ট ক্লাস অফিসার। লরার খুব ইচ্ছে ছিল বাবার সঙ্গে কো-পাইলট হিসেবে বিমান চালাবেন। ইচ্ছে পূরণ হয় আকস্মিকভাবেই।
পর্যটন সংস্থা থমাস কুক গত ৬ ফেব্রুয়ারি বার্মিংহাম থেকে তেনেরাইফগামী একটি বিমান চালানোর দায়িত্ব দেয় পিটার ইলিয়ট ও তার কন্যা লরা ইলিয়টকে। ইতিহাস গড়ে ককপিটে বসলেন পিতা-কন্যা। যাত্রীদের মন ভরিয়ে উড়ল বিমান। লরার কথায়, 'আমি চার বছর আগে গ্র্যাজুয়েট হয়েছি। বাবার দেখানো পথেই এগিয়েছি। চেয়েছিলাম অবসরের আগে, বাবার পাশে বসে বিমান চালাব। ইচ্ছে পূর্ণ হলো। আমার জীবনের সেরা সময় কাটালাম ককপিটে। - ওয়েবসাইট
বিডি-প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫/ এস আহমেদ