চা বিক্রেতা থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী- নরেন্দ্র মোদির জীবনের এ কাব্য এখন আর বোধহয় কারও অজানা নয়। ভারতের গুজরাট রাজ্যের এক রেলস্টেশনে চা বিক্রি করতেন বালক নরেন্দ্র মোদি। এবার পাওয়া গেল এক চা বিক্রেতা বাবার সুখী জীবনের গল্প। আর, এই চাওয়ালা বাবা মেয়েকে বানিয়েছেন বিচারক। যে কোর্ট চত্বরে বাবা চা বেঁচেন, মেয়ে আজ সেই কোর্টেরই জজ!
সুরেন্দর কুমার পাঞ্জাবের জলন্ধর কোর্ট এলাকায় পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিন ধরে কোর্ট চত্ত্বরে তিনি চা বিক্রি করছেন। আজ মেয়েকে নিয়ে তাঁর গর্বের শেষ নেই। বলছিলেন, মেয়ে বড় হয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে, এমন স্বপ্ন আর পাঁচজন বাবার মতো তিনিও দেখেছেন। কিন্তু, কখনও কল্পনাও করেননি মেয়ে বিচারক হবে।
গর্বিত সুরেন্দর বলে চলেন, আমার ভাই তীর্থ রামের কাছেই ছোটবেলায় মেয়ে পড়াশোনা করেছে। নানাভাবে মেয়েকে উদ্ধুদ্ধ করেছে রাম। তাই ভাইকেও এর কৃতিত্ব দিতে চান খেটেখাওয়া অতিসাধারণ পরিবারের এই মানুষটি।
যাঁকে নিয়ে সুরেন্দরের এই গর্ব, চলুন শুনি সেই শ্রুতির কথা। এক চান্সেই পাঞ্জাব সিভিল সার্ভিসেস (জুডিশিয়াল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শ্রুতি জুডিশিয়াল একাডেমিতে একবছরের প্রশিক্ষণ নিয়ে বিচারক। সুরেন্দরের কথায়, মেয়ের এই সাফল্যই আমার জীবনের সেরা পুরস্কার।
পাঞ্জাবের ছোট্ট শহর নাকোদর। সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন জলন্ধর কোর্টের এই চাওয়ালা। শ্রুতি স্টেট পাবলিক স্কুল থেকে পাস করে, আইন পড়েন জলন্ধরের GNDU থেকে। এর পর পাতিয়ালার পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি থেকে LLM করেছেন। এর পর ধাপে ধাপে বিচারক।
দারিদ্র যে লক্ষ্যের পথে কখনোই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, তা আরও একবার দেখিয়ে দিলেন জলন্ধর কোর্টের এই বিচারক।
সূত্র: এইসময়
বিডি-প্রতিদিন/২৯ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ