১২ বছরের সম্পর্ক৷ ১০ বছরের এক ছেলে ও ৬ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে সংসারে৷ তবুও স্বামী একম সিং ধিঁল্লোরের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল না সীরতের৷ কিন্তু তাঁর মনে যে এই সাংঘাতিক অভিসন্ধি বাসা বেঁধেছিল তা আগে থেকে কেউ কল্পনাও করতে পারেননি৷ ৯ এমএম পিস্তল দিয়ে নিজের স্বামীকে খুন করেন তিনি। পরে স্বামীর দেহ লুকানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়েন ৩৫ বছরের ওই নারী৷ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতের পাঞ্জাবের মোহালি শহরে৷
আটককৃত সীরত প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক অজিত ইন্দের সিং মোফারের ভাইজি৷ জানা গিয়েছে, সপ্তাহ কয়েক আগেই মোহালির এক অভিজাত আবাসনে বাড়ি ভাড়া নেয় ওই পরিবার৷ পুলিশের জেরার মুখে সীরত জানিয়েছে, শনিবার রাতেই ভাই বিনয় প্রতাপ সিং ও তার এক বন্ধুর সাহায্যে স্বামীকে গুলি করে মারে সে৷ ঠিক করে মৃতদেহ কোনো খালে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেবে৷ কিন্তু রাতে নিজেদের বিএমডব্লু গাড়ির চাবি খুঁজে পায় না তারা৷ তাই ঠিক করা হয় সকালে নিয়ে গিয়ে ফেলে আসা হবে মৃতদেহটি৷
সকালে যখন একমের মৃতদেহ ভরা স্যুটকেসটি গাড়িতে তুলছিল সীরত৷ এক অটোচালক সেখানে কোনো যাত্রীকে পৌঁছে দিতে এসেছিলেন৷ দূর থেকে সীরতকে অত ভারী স্যুটকেস নিয়ে কষ্ট করতে দেখে তিনি সাহায্যের জন্য এগিয়ে যান৷ কিন্তু স্যুটকেসটি তুলে দিয়ে ফেরার সঙ্গে তিনি লক্ষ্য করেন হাতে রক্ত লেগে রয়েছে তাঁর৷ সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশে খবর দেন তিনি৷ পুলিশ এসে গাড়িটি উদ্ধার করে৷ ঘটনার পর থেকেই পলাতক সীরতের ভাই বিনয় ও মা জসবিন্দর কৌর৷ সোমবার সীরতকে আদালতে পেশ করা হয়৷ একমের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিনি
বিডি প্রতিদিন/২১ মার্চ ২০১৭/হিমেল