জন্ম থেকেই অন্ধ হলেও হাতের স্পর্শে অনুমান করে একের পর এক নিখুঁত কাঠের আসবাব তৈরি করে চলেছেন তিনি। দুটি চোখেই তিনি দেখতে পান না। অর্থাৎ সব কিছুই তাঁকে হাতে ছুঁয়ে উপলব্ধি করতে হয়। অন্ধ বলে পরনির্ভর হয়ে বেঁচে থাকার মতো মানসিকতা ছোট থেকেই ছিল না অনিলবাবুর। শারীরিক কোনও প্রতিবন্ধকতাই যে জীবনে চলার পথে বাঁধা হতে পারে না, এই তথ্য বাস্তবে প্রমাণ করে দেখালেন পাণ্ডুয়ার অনিল দাস। ছোটবেলা থেকেই হাতের কাজ শেখার অদম্য ইচ্ছে ছিল তাঁর মধ্যে। প্রতিবন্ধী, কিন্তু তাঁর হাতের কাজের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সমাজের আর পাঁচজন মানুষের থেকে তিনি কোনও অংশে কম নন।
সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে, আজ তিনি ভারতের পান্ডুয়ার প্রতিষ্ঠিত আসবাবপত্রের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন। পান্ডুয়া–কুলটি রোডে তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম সিদ্ধেশ্বরী ফার্নিচার। ছাব্বিশ বছরের পুরাতন কাঠের আসবাবপত্রের এই দোকানের মালিক অনিল দাস। কারোর কোনওরকম সাহায্য ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে তিল তিল করে তিনি গড়ে তুলেছেন এই দোকান। শুধু অনিলবাবু নন, আরও ৪ জন কর্মচারী ওনার দোকানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ছোটবেলায় বাবা যখন কাঠের কাজ করতেন, দিনের পর দিন পাশে বসে সেই তৈরি করা আসবাবপত্র হাতে ছুঁয়ে তিনি কাঠের কাজ শিখেছেন। সূত্র: আজকাল।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার