ভারতের বর্তমান গুজরাট প্রদেশে রাজত্ব ছিল এক সুলতানের। নাম মেহমুদ বেগাদা (মেহমুদ শাহ ১)। ১৪৫৮ থেকে ১৫১১, প্রায় ৫৩ বছর রাজত্ব করেছিলেন তিনি। নিজের জমানায় আর কিছু তিনি করুন বা না করুন, চুটিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতেন। খেতে তিনি খুব ভালোবাসতেন। তেমনই ছিল তার বাহুবল। শরীরের শক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়েই খাওয়া পেটে পুরতেন তিনি।
৩৫ কেজি খাবার কম কথা নয়। কিন্তু তার থেকে আরও মারাত্মক ছিল তার ডায়েট চার্ট। খাবারের মেনুতে তিনি রোজ রাখতেন বিষ। ভাবছেন বিষ তো মানুষকে মেরে ফেলে! তাহলে সেই সুলতান কেমন করে বেঁচে ছিলেন? ওখানেই তো ছিল তার বিশেষত্ব।
রোজ একটু একটু করে বিষ খেতেন তিনি। হজমও করে ফেলতেন। কোনও বিষ যাতে তার শরীরের কোনও প্রভাব না ফেলে, তার জন্য এই রাস্তা নিয়েছিলেন সুলতান। তখন রাজনৈতিক মস্তিষ্ক কত সূক্ষ্ম বিচার করত, এই ঘটনাই তার প্রমাণ।
ব্রেকফাস্টে এক কাপ শুধু মধুই খেতেন সুলতান। তার সঙ্গে থাকত মাখন আর ৫০টি কলা। প্রতিদিন ৩৫ কেজি খাবার ছিল তার বাঁধা ধরা। কোনও কোনও দিন তা ৩৭ কেজিও হয়ে যেত। তার ডেজার্টের ওজনই ছিল কয়েক কিল। রোজ খাবারের পর এই ডেজার্ট থাকত তার মেনুতে। মোটামুটি ৪.৬ কেজির হত ডেজার্টের ওজন।
এত কিছুর পরও কিন্তু রাতে খিদে পেত সুলতানের। ডিনারের পর তার জন্য থাকত দুটো বড় থালা ভরতি মাংসের সিঙাড়া। রাতে খিদে পেলে তিনি সেসব খেতেন।
শুনে মনে হতে পারে, এসব একেবারই গল্প কথা। ইউরোপের একাধিক পর্যটকের কাছ থেকে জানা গেছে এই কথা। বারবোসা ও ভার্থেমা এই সাম্রাজ্য ও সুলতানের কথা উল্লেখ করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/২৩ আগস্ট ২০১৮/আরাফাত