পৃথিবী ও বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় অমীমাংসিত রহস্য হচ্ছে এলিয়েন বা ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব। বছরের পর বছর যুগের পর যুগ চেষ্টা করেও মানুষ এই সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো ধারণা অর্জন করতে পারেনি। এরপরও সারা বিশ্বের গণমাধ্যম থেকে শুরু করে রূপালী পর্দা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই এলিয়েন বা ভিনগ্রহীদের জয়জয়কার। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ভিনগ্রহে কি আদৌ প্রাণ রয়েছে? সত্যিই কী এলিয়েনের অস্তিত্ব রয়েছে এই ব্রহ্মাণ্ডে।
এর উত্তর খোঁজার জন্য কোন গ্রহে প্রাণ আছে সেটি নিয়ে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কোথাও প্রাণের নমুনা পেলেই গবেষকদের নজর যায় সেদিকেই। এবার সৌরজগতের সেরকমই একটা গ্রহের কথা জানতে পেরেছে মহাকাশবিদরা।
খুব বেশি দূরেও নয়। পৃথিবী থেকে মাত্র ১৪ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে সেই গ্রহ। পৃথিবীর থেকে আকারে চারগুণ বড়। Wolf 1061-নামে একটি নক্ষত্রকে ঘিরে সেই গ্রহ আবর্তন করছে। রয়েছে মোট তিনটি গ্রহ। এটিই সবথেকে নিকটবর্তী।
বিজ্ঞানীদের অনুমান এই গ্রহগুলির গা পাথরের ও শক্ত। দ্বিতীয়ত গ্রহটিতে পানি পাওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানাচ্ছেন গবেষকরা। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
এক গবেষক ডানকান রাইট জানিয়েছেন, এটা ভাবতে ভাল লাগছে যে আমাদের এত কাছে আরও একটা নক্ষত্র আছে আর তার চারপাশে প্রাণ রয়েছে এমন গ্রহও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেটি হলে সেখানেই রয়েছে ভিনগ্রহীদের বাস।
তিনটি গ্রহ পৃথিবীর থেকে যথাক্রমে ১.৪, ৪.৩ ও ৫.২ গুণ বড়। এরা ৫ দিন, ৮ দিন ও ৬৭ দিনে নিজেদের কক্ষপথ ঘুরে আসে বলে জানা যাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত যত পাথুরে গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে প্রায় সবকটাই কয়েক’শ বা কয়েক হাজার আলোকবর্ষ দূরে। তাই এই নয়া আবিষ্কারে আশা দেখছেন গবেষকরা। সবচেয়ে বড় কথা গবেষকদের একটি বড় দলের বিশ্বাস এই গ্রহে অবশ্যই প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। যদি সত্যি সত্যি তেমন কিছু ঘটে তাহলে কিন্তু খুঁজে পাওয়া যাবে এলিয়েন সংক্রান্ত সমস্ত ধারণা ও বিশ্বাসের সত্য রূপ।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা