৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:০৪
জেরুজালেমে ২৭০০ বছর আগের শৌচাগারের সন্ধান

স্বর্ণে তৈরি আদিম অত্যাধুনিক দামি কিছু শৌচাগার

অনলাইন ডেস্ক

স্বর্ণে তৈরি আদিম অত্যাধুনিক দামি কিছু শৌচাগার

স্বর্ণে তৈরি আদিম অত্যাধুনিক দামি কিছু শৌচাগার

সবারই সেখানে যেতে হয়, তবে কেউই এ নিয়ে সহজে কথা বলতে চান না। সম্প্রতি জেরুসালেমে বাইবেল যুগের এক শৌচাগারের (টয়লেট) সন্ধান পাওয়া গেছে। এখানে থাকছে ব্যতিক্রমী কিছু শৌচাগারের কথা।

জেরুসালেমে প্রাচীন শৌচাগার

জেরুজালেমে ২৭০০ বছর আগের শৌচাগারের সন্ধান পাওয়া গেছে। চারকোনার চুনাপাথরের টুকরার মধ্যে ফুটো করে তৈরি এই টয়লেটটি খ্রিস্টপূর্ব ৭ শতকে তৈরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটির নিচে রয়েছে একটি সেপটিক ট্যাংক। এ ধরনের টয়লেট সেসময় শুধু ধনীদের পক্ষেই ব্যবহার সম্ভব ছিল।

কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয়

এখন অবধি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো যে টয়লেট পাওয়া গেছে সেটি সুমেরীয়রা মেসোপটেমিয়াতে খ্রিস্টপূর্ব ৩,৫০০ থেকে ৩,০০০ সালের মধ্যে গড়েছিল। লিবিয়ার একটি প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটে পাওয়া ছবির টয়লেটটি রোমানদের তৈরি। তাদের কাছে শৌচাগারে যাওয়া কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয়, বরং সামাজিক ইভেন্ট ছিল। ফলে শৌচাগারগুলোর মধ্যে কোনো দেয়াল ছিল না।

ভিন্ন ভিন্ন প্রথা

এশিয়ার দেশগুলোর টয়লেটগুলোতে বসে প্রাকৃতিক কর্ম সারতে হয়। এর দু’টো সুবিধা আছে। প্রথমত, এভাবে শরীরের ভেতর থেকে মল বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া সহজ হয়। দ্বিতীয়ত, অস্বাস্থ্যকর কোনো কিছুর ওপরে বসতে হয় না। আরব বিশ্বসহ বিশ্বের অনেক দেশে শৌচকার্যে টিস্যু পেপারের বদলে পানি ব্যবহার করা হয়।

জাপানের অত্যাধুনিক টয়লেট

পশ্চিমা ফ্লাশ টয়লেটে প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে জাপান। সেদেশে তৈরি টয়লেটগুলোতে স্বয়ংক্রিয় এয়ার ফ্রেশনার, গরম সিট, ইনবিল্ট মিউজিক সিস্টেম এবং ওয়াইফাইসহ নানা ব্যবস্থা রয়েছে।

স্বচ্ছ টয়লেট

জাপানের রাজধানী টোকিওর পাবলিক টয়লেটগুলোর দেয়াল স্বচ্ছ। তবে, টয়লেটগুলো যখন ব্যবহার করা হয় তখন সেগুলোর দেয়াল ঘোলা হয়ে যায়। ফলে ভেতরে কী হচ্ছে তা আর দেখা যায় না।

মহাকাশে টয়লেট

নাসা ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে ২০২০ সালে মহাকাশে ব্যবহারের উপযোগী দুটি টয়লেট তৈরি করেছে। এগুলো এখন অবধি তৈরি সবচেয়ে দামি শৌচাগার।

১৮ ক্যারেট স্বর্ণের টয়লেট

নিউইয়র্কের গুগেনহাইম মিউজিয়ামে ২০১৬/১৭ সালে ১৮-ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে তৈরি একটি টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছিলেন দর্শনার্থীরা। ইতালীয় শিল্পী মাউরিৎসিও কাটেলানে এটি তৈরি করেন। ২০১৯ সালে অবশ্য এই শিল্পকর্মটি চুরি হয়ে যায়।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর