৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:৩২

চট্টগ্রামে পৌরসভা নির্বাচনে চূড়ান্ত হয়নি সন্দ্বীপ আ.লীগের মেয়র প্রার্থী

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পৌরসভা নির্বাচনে চূড়ান্ত হয়নি সন্দ্বীপ আ.লীগের মেয়র প্রার্থী

দেশের পৌরসভা নির্বাচনে চট্টগ্রামে ২য় দফায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চট্টগ্রামের দ্বীপ সন্দ্বীপের আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী নিয়ে এখনও দোটানায় রয়েছেন উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। বৃহস্পতিবার সন্দ্বীপ উপজেলায় দলীয় বর্ধিত সভায়ও একক সিদ্ধান্ত না হওয়ায় একাধিক নামও যাচ্ছে জেলা কমিটির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। 

তবে এখনও একক মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির নেতারা দুয়েক-দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে এই নামের তালিকাটা পাঠানো হবে বলে দলীয় সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ পৌরসভায় দলীয় মনোনয়নের লড়াইয়ে আলোচনায় আছেন বর্তমান মেয়র জাফর উল্যা টিটু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোক্তাদের মাওলা সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল মাওলা, সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার শাহজাহান বিএ’র পুত্র নাদিম শাহ আলমগীরসহ আরও কয়েকজন আলোচনায় আছেন। 

১৬ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে এই দ্বীপ উপজেলায়। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রাথমিক প্যানেল প্রস্তুতি করতে বর্ধিত সভাও হয়েছে সন্দ্বীপে। স্থানীয় এমপি ও আওয়ামীলীগের রাজনীতির একাংশের মধ্যে কোন্দল থাকায় সন্দ্বীপ পৌরসভায় মেয়র পদে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন সেটি নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দুই পক্ষের চরম গ্রুপিং থাকায় বর্ধিত সভা শেষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বর্ধিত সভায় একক নাম ঘোষণা হয়নি। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এমপি মাহফুজুর রহমান মিতার সাথে পৌরসভার বর্তমান মেয়র জাফর উল্লাহ টিটুর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয়। 

তিনি বলেন, উপজেলার বেশ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে জোট বেধে সাংসদ মিতার বিরুদ্ধে মাঠে নামেন মেয়র টিটু। পরে মাহফুজুর রহমান মিতা দলীয় মনোনয়ন ঘরে তুলেই রাজনৈতিকভাবে একঘরে করে ফেলেন মেয়র টিটুসহ কিছু নেতাদের। এরপর থেকেই বিরোধ লেগেই আছে। সেই বিরোধের প্রভাব এখন পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হদেও পড়েছে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে শক্ত মনিটরিং না হলে দলীয় একক প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও সন্দ্বীপে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকবে বলে জানান স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

সন্দ্বীপ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোক্তাদের মাওলা সেলিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছি। দলের বিভিন্ন পদেও ছিলাম। এখনও আছি। অতীতে দলীয় গ্রুপিং এর কারণে আমি বঞ্চিত হয়েছি। এবার আশা করি দলীয় নেতাকর্মীরা আমার প্রতি সুবিচার করবেন। তবে দলের একাধিক নেতা মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন। আমিও নিয়েছি। জেলা কমিটি যাচাই-বাছাই করেই ৩ জন বা একাধিক নামও কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

সন্দ্বীপ পৌরসভার মেয়র জাফর উল্লাহ টিটু বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছি সবসময়। গতবারও প্রধানমন্ত্রী আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন। ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। এবারও মনোনয়ন চাইবো। কোন অন্যায় হলে সিনিয়র  নেতৃবৃন্দরা বিষয়টা দেখবেন বলেও মনে করছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে পৌরসভার নির্বাচন ১৬ জানুয়ারি হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বর। বাছাইয়ের শেষ সময় ২২ ডিসেম্বর এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন হচ্ছে ২৯ ডিসেম্বর।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর