জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত ও বিচারক নিয়োগ-প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুই দিনের শুনানি শেষ আজ বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার করা পৃথক রিটের শুনানি শেষে গত ২৫ মে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বিভক্ত আদেশ দেন। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব মামলার কার্যক্রম তিন মাসের স্থগিতের পাশাপাশি রুল দেন। অপর বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ আবেদনটি খারিজ করেন।
গত ১৯ মার্চ ওই দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন। দুটি মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন গত ২৩ এপ্রিল খারিজ করে দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
পরে ওই দুটি মামলায় বিচারক নিয়োগ-প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১২ মে পৃথক রিট করেন খালেদা জিয়া। মামলা দুটির বিচারকাজ চলছিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩-এ। ৭ মে আইন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলা দুটির বিচারকাজ পরিচালিত হবে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩-এর অস্থায়ী এজলাসে।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অপর মামলাটি করে দুদক। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।