উত্তেজনা-শঙ্কার মধ্যে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ১৪১টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। নির্বাচন উপলক্ষে সাত-সকালেই ভোটকেন্দ্র এলাকাসহ রাস্তা-ঘাটে প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন কেন্দ্রে সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে অল্প কিছূ ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়েছে।
শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারণায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম আকরাম তার প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে। তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমানের মন্তব্য, 'আকরাম মিথ্যা বলছেন'। তার পরও বিষয়টি আমলে নিতে তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
উপনির্বাচন নিয়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে নারায়ণগঞ্জ শহরজুড়ে। নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। তবে শঙ্কামুক্ত নন ভোটার ও প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশন গতকালই ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী মালামাল পৌঁছে দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনীর সাড়ে চার হাজার সদস্য। প্রস্তুত হেলিকপ্টার ও র্যাবের ডগ স্কোয়াড, বোম ডিসপোজাল টিম। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনটিতে নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন চারজন প্রার্থী। জাতীয় পার্টি থেকে নাসিম ওসমানের ভাই সেলিম ওসমান (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র এস এম আকরাম (আনারস), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার (গামছা) এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ (চিংড়ি)। তবে সেলিম ও আকরামের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ক্ষমতাসীন জোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী থাকায় আলাদা প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। আর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এখানেও ভোট বর্জন করেছে বিএনপি। এ আসনে ভোটার ৩ লাখ ৪২ হাজার ৪০৫ জন। পুরুষ ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩১১ ও নারী ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৪ জন। ভোট কেন্দ্র ১৪১টি ও ভোট কক্ষ ৬৭৪টি।
নির্বাচনী এলাকায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। কেউ কেন্দ্র দখল, আচরণবিধি লঙ্ঘন, সন্ত্রাস করতে চাইলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে র্যাব।