বলিউডে হৃতিক রোশন ও কঙ্গনা রানাউতের তিক্ত দ্বন্দ্ব নতুন নয়, তবে সম্প্রতি পুরোনো বিতর্কে যোগ হয়েছে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ। কঙ্গনার ভাষ্য, ‘কৃষ ৩’ (২০১৩)–এর শুটিং চলাকালে হৃতিকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে; ২০১৬-র এক সাক্ষাৎকারে তিনি নাম না করেই সাবেক প্রেমিকের ‘হয়রানি’ তুলে ধরেন। তখনই শুরু হয় আইনি লড়াই।
কঙ্গনার আইনজীবীদের দাবি, অভিনেত্রী ও হৃতিকের মধ্যে চলমান ইমেইল আলাপনে নায়ক কর্তৃক নগ্ন ছবি চাওয়ার প্রমাণ আছে; হৃতিক নিজেও ব্যক্তিগত ছবি পাঠাতেন। অন্যদিকে হৃতিক রোশন সাইবার সেলে অভিযোগ জানান—কঙ্গনা ‘ইম্পোস্টার’ (জাল আইডি ব্যবহারকারী) কারও সঙ্গে কথোপকথন করেছেন, ওই মেইল তাঁর নয়। দু’জনই একে অন্যকে মানহানি মামলা করে।
কঙ্গনা প্রকাশ্য টিভি সাক্ষাৎকারে হৃতিককে ‘কাপুরুষ’ ও ‘মিথ্যাবাদী’ বলে আখ্যা দেন এবং কুপ্রস্তাবের অভিযোগ তোলেন। হৃতিক প্রকাশ্যে পাল্টা মন্তব্য এড়িয়ে যান, আইনি প্রক্রিয়ায় অটল থাকেন। সাইবার সেলের তদন্তে ‘ইমেইল–ইম্পোস্টার’ তত্ত্বের সত্যতা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, ফলে মামলাটির নিষ্পত্তি ঝুলে আছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে আলোচনায় আসায় এই দীর্ঘ টানাপোড়েন আবারও বলিউডের শিরোনামে। ভক্ত-দর্শকের কৌতূহল—কবে শেষ হবে কঙ্গনা-হৃতিকের ‘নগ্ন-ইমেইল’ কাহিনি?
বিডি প্রতিদিন/আশিক