রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক তৎপরতা এখন তুঙ্গে। আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠকের পর এবার ট্রাম্প ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মুখোমুখি বসতে চলেছেন।
তবে এবারের বৈঠকটি শুধু দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। ইউরোপের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা এই আলোচনায় যোগ দিতে পারেন, যা নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে আন্তর্জাতিক মহলে।
সোমবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রট, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ।
ব্লুমবার্গ ও স্কাই নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও এই আলোচনায় যোগ দিতে পারেন। এই শীর্ষস্থানীয় নেতাদের উপস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, শুধুমাত্র আমেরিকা নয়, ইউরোপও এই সংকট সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা নিতে আগ্রহী।
আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে কিছু নির্দিষ্ট দাবি এসেছে, যা নিয়ে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করবেন। মনে করা হচ্ছে, এই আলোচনায় রাশিয়ার পাঁচটি মূল দাবি নিয়ে দর কষাকষি হবে, যার মধ্যে অন্যতম হলো ডনবাস অঞ্চলকে রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দেওয়া। যদিও লুহানস্ক ইতিমধ্যেই রাশিয়ার দখলে, দোনেৎস্কে এখনও যুদ্ধ চলছে।
কূটনৈতিক মহলে সংশয় রয়েছে, খনিজ সমৃদ্ধ ডনবাস অঞ্চল ইউক্রেন নিরাপত্তার কারণে ছাড়তে রাজি হবে কি না। ট্রাম্পের মধ্যস্থতা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে গত মার্চে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়নি বরং উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে শেষ হয়েছিল। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা কি এবারও ফিরে আসবে? যদিও পরবর্তী সময়ে দুই নেতার সম্পর্ক আবারও মধুর হয়েছে, তবুও অতীতের ঘটনা একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন রেখে যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল