হরিজনসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর হোটেল-রেস্তোরাঁয় প্রবেশ ও খাবার গ্রহণের নাগরিক অধিকার এবং ভূমির অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শহরের মার্কেটের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় এসকেএস ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নাধীন ‘সুশীল’ প্রকল্পের গাইবান্ধা সিএসও হাব-এর উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
‘জাতি-ধর্ম-বর্ণ ও পেশার বিভেদে মানুষের মর্যাদা নির্ধারণের সংস্কৃতি অসাংবিধানিক’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, হরিজন-রবিদাসসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারী-পুরুষ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
সুশীল প্রকল্পের গাইবান্ধা সিএসও হাবের সভাপতি ও ছিন্নমূল মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মুর্শিদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন ‘সুশীল’ প্রকল্পের জেলা কো-অর্ডিনেটর মেহেদী হাসান, হাবের কোষাধ্যক্ষ ও নাগরিক উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি সালাহউদ্দীন কাশেম, হাবের সদস্য প্রবীর চক্রবর্তী, মনির হোসেন সুইট, জিল্লুর রহমান খন্দকার, সুরুজ হক লিটন, আলম মিয়া, খিলন রবিদাস, দধিয়া রবিদাস, বিথি বেগম, সোহাগ বাসফোর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হরিজন ও দলিত জনগোষ্ঠী এখনও সামাজিক ও পেশাগতভাবে নানা বৈষম্যের শিকার। হোটেল-রেস্তোরাঁ ও বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ ও খাবার গ্রহণে তাদের প্রতি যে বৈষম্য করা হয়, তা মানবাধিকারের পরিপন্থী। বক্তারা বলেন, সংবিধানে সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত থাকলেও বাস্তবে দলিত জনগোষ্ঠী সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
বক্তারা সরকারি চাকরিতে দলিতদের কোটা প্রবর্তন, নাগরিক ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া, দলিত কলোনিতে রাস্তা, বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা এবং বাজেটে দলিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানান।
শেষে একটি র্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম