পাহাড়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে সেনাবাহিনী। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের দুর্গম হারাঙ্গীপাড়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
চিকিৎসা ক্যাম্পে শিশু বিশেষজ্ঞ, গাইনি বিশেষজ্ঞ ও মেডিকেল অফিসাররা অংশগ্রহণ করেন। দিনব্যাপী এ ক্যাম্পে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বাঙালি নারী, শিশু ও প্রবীণসহ স্থানীয় জনগণ চিকিৎসাসেবা ও বিনা মূল্যে ওষুধ গ্রহণ করেন।
সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে উন্নত চিকিৎসাসেবা ও বিনা মূল্যে ওষুধ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের দুর্গম হারাঙ্গীপাড়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী একটি চিকিৎসা ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেনাবাহিনীর এ কার্যক্রমে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিনা মূল্যে চিকিৎসা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে পাহাড়ি পাড়ায় ঘুরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষকে হুমকি দেয়। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের এমন ভয়ভীতির কারণে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বেশ কিছু মানুষ চিকিৎসা নিতে সাহস পাননি। তবু কিছু সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসীদের ভয়কে তোয়াক্কা না করে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। একই সঙ্গে চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, সেনাবাহিনী সর্বদা পার্বত্য অঞ্চলের জনগণের কল্যাণে নিবেদিত। শান্তি, নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তার প্রতি সেনাবাহিনীর অঙ্গীকার অটুট এবং যেকোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর ভয়ভীতি বা বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ড জনগণের সেবায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি