মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ১৩ জন মারা গেছেন। সোমবার থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ২৩০ জনকে নিয়ে উপকূল ছেড়ে যাওয়া আরেকটি নৌকারও খোঁজ মিলছে না।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে আরও একটি নৌকা ডুবে গেছে। যেখানে প্রায় ৭০ জন আরোহী ছিলেন, তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এছাড়া মালয়েশিয়া সরকার জানিয়েছে, ২৩০ যাত্রী বহনকারী আরেকটি নৌকার অবস্থানও পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে তারা জীবিত উদ্ধার করেছে। যাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা।
অন্যদিকে, থাই সরকার জানিয়েছে, তারা দুজন শিশুসহ চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার সমুদ্র সংস্থা জানিয়েছে, জীবিতদের সন্ধানে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া উভয় পক্ষই বিমানবাহিনী মোতায়েন করছে।
মিয়ানমারে নিজ দেশে সহিংসতার শিকার হয়ে বেঁচে থাকার আশায়, অবৈধভাবে বিপজ্জনক নৌরুটে অন্যদেশে পাড়ি জমাচ্ছে রোহিঙ্গারা। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারাও এ চোরাই পথে ছুটছেন।
২০১৭ সালের নৃশংস সামরিক অভিযানের পর রাখাইন থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রায় ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছে।
সূত্র: সিএনএন
বিডি-প্রতিদিন/এমই