বাগেরহাটের মোংলার পশুর নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ও বিমানবাহিনীর পাইলট নারী পর্যটক রিয়ানা আবজালের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে জয়মনিরঘোলের সরকারি খাদ্যগুদামের জেটি এলাকার পশুর নদী থেকে ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
রিয়ানা আবজাল তার বাবা-মা, ভাই-বোন ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুন্দরবন ভ্রমণে এসেছিলেন। রিয়ানার বাবা ঢাকার উত্তরার বাসিন্দা। বাবা পেশায় বিমানবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার। আর রিয়ানা বিমানবাহিনীর পাইলট ছিলেন। স্বামীসহ বসবাস করতেন আমেরিকায়। গত মাসের মাঝামাঝি আমেরিকা থেকে ঢাকায় আসেন রিয়ানা। ২০২১ সালে রিয়ানার বিয়ে হয় আমেরিকাপ্রবাসী স্বামীর সঙ্গে। তাদের কোনো সন্তান ছিল না।
রিয়ানার বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, রিয়ানাকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে শ্বশুরবাড়িতে দাফন করা হবে। এদিকে, স্ত্রী নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর রোববার রিয়ানার স্বামী তৌহিদুল ইসলাম ঢাকায় আসেন।
কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা (ঢাকা) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, শনিবার ১৪ জন পর্যটক সুন্দরবনের করমজল ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জালি বোটে যাত্রা শুরু করেন। বোটটি দুপুর ১টার সুন্দরবনের ঢাংমারি খালসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে প্রবল ঢেউয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। স্থানীয় বোটের সহায়তায় ১৩ জন ট্যুরিস্টকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বোটে থাকা এক ব্যক্তি বিষয়টি কোস্টগার্ডকে অবগত করেন।
তার ভিত্তিতে কোস্টগার্ডের দুটি উদ্ধারকারী দল অতি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং নিখোঁজ পর্যটকের অনুসন্ধানে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। তিন দিনের ধারাবাহিক অনুসন্ধানের পর সোমবার সকাল ৭টার দিকে মোংলার সাইলোর জেটিসংলগ্ন পশুর নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত মরদেহ চাঁদপাই নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা বলেন, পর্যটকদের সুরক্ষা ও ঝুঁকিমুক্ত ভ্রমণ নিশ্চিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি