দিন দিন চাকরি বাজারে বাড়ছে প্রতিযোগিতা। চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তারা অ্যাকাডেমিক ফলাফলের পাশাপাশি চান পূর্ব অভিজ্ঞতা। তাই ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে, প্রয়োজন হয় বাস্তব অভিজ্ঞতা। চাকরির বাজারে নিজেকে মেলে ধরতে ছাত্রজীবনে ইন্টার্নশিপ করতে হবে। বর্তমানে ইন্টার্নশিপ এর গুরুত্ব তুলে ধরা হলো।
দক্ষতা অর্জন
ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বর্তমান চাকরির বাজার সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পান। শুধুমাত্র বই পড়ে নয়, হাতে-কলমে কাজ করেই দক্ষতা অর্জন সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়া উচিত। যেখানে পছন্দের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব। সেই সাথে কাজের পরিবশে সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা যায়।
ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রের প্রস্তুতি
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সাধারণত তিন মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত ইন্টার্নশিপ এর সুযোগ দিয়ে থাকে। অনেক প্রতিষ্ঠান দুই বছর পর্যন্ত ইন্টার্নশিপ এর ব্যবস্থা রাখছে। ইন্টার্নশিপ সফলভাবে সম্পন্ন করলে নিয়োগকর্তারা প্রায়ই ইন্টার্নদের স্থায়ী চাকরির প্রস্তাব দেন। তাই কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজের জন্য একটি ভালো সুযোগ তৈরি করা সম্ভব। তাছাড়া ভবিষ্যতের জন্য সুপারভাইজারের কাছ থেকে সুপারিশপত্র নেওয়াও কার্যকরী হতে পারে।
নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ
নেটওয়ার্কিং ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টার্নশিপের সময় সহকর্মী, সুপারভাইজার এবং অন্যান্য পেশাদারদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। অনেক সময় দেখা যায়, কোনো প্রতিষ্ঠানে সীমিত সংখ্যক শূন্যপদ থাকলে নিয়োগ বিজ্ঞাপন ছাড়াই অভ্যন্তরীণ সুপারিশের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাই দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণের পাশাপাশি পেশাদার নেটওয়ার্ক তৈরি করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন
ইন্টার্নশিপ শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনের জন্য বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এটি শুধুমাত্র শেখার সুযোগ নয়, বরং প্রকৃত কাজের পরিবেশে কাজ করার দক্ষতা গড়ে তোলে। ফলে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের আগেই একজন শিক্ষার্থী আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।
সিভি সমৃদ্ধ করা
একটি সাজানো-গোছানো জীবনবৃত্তান্ত বা সিভি চাকরির বাজারে এগিয়ে থাকতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। ইন্টার্নশিপের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করা থাকলে নিয়োগকর্তাদের কাছে সেটি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যা থাকে ক্যারিয়ারে অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে রাখে।
মানসিক প্রস্তুতি
পড়াশোনার শেষ করার পর অনেকে চাকরি বাজারের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। নতুন চাকরি, পরিবেশ সব কিছুর সাথে প্রস্তুত হতে তাদের কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায়, একটি ইন্টার্নশিপ এর সুযোগ, তার ক্যারিয়ারে বাস্তব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে সহায়তা করে। তাই ছাত্রজীবনেই ইন্টার্নশিপের গুরুত্ব বোঝা এবং যথাযথভাবে কাজে লাগানো উচিত।
বিডি প্রতিদিন/কামাল