রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরাঞ্চলে দাপিয়ে বেড়ানো ১১টি সন্ত্রাসী বাহিনীর ৬৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
রবিবার (৯ নভেম্বর) ভোর রাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ, র্যাব ও এপিবিএন সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে।
যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ইঞ্জিনিয়ার হাসিনুজ্জামান কাকনের ‘কাকন বাহিনী’র সদস্য। অভিযানে দেশি-বিদেশি অস্ত্র, মোটরসাইকেল, মাদকদ্রব্য, নৌকা ও স্পিড বোটসহ সরঞ্জমাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিকেলে রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, ‘কাকন বাহিনী’ দমনে পুলিশ, র্যাব ও এপিবিএন সদস্যদের নিয়ে যৌথ অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’। এতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিমের ১ হাজার ২০০ সদস্য অংশ নেয়।
অভিযানে মোট ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে রাজশাহী, পাবনা ও নাটোর জেলার চরাঞ্চল থেকে। অন্য নয়জন গ্রেপ্তার হয়েছে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চল থেকে। এরা কাকন বাহিনীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য। তাদের কয়েকজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিও।
ডিআইজি জানান, অভিযানে রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলা থেকে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি গুলি, দুটি গুলির খোসা, ২৪টি হাসুয়া, ছয়টি ডোসার, দুটি ছোরা, চারটি চাকু, তিনটি রামদা, দুটি চাইনিজ কুড়াল, একটি লোহার পাইপ, একটি টিউবওয়েল, পাঁচটি মোটরসাইকেল, ২০ বোতল ফেনসিডিল, ৮০০ গ্রাম গাঁজা ও ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। আর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চর থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা, একটি স্পিড বোড, অস্ত্র রাখার একটি সিলিন্ডার, দুটি তাবু ও পাঁচটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
ডিআইজি বলেন, ‘এই অভিযানই শেষ নয়। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখন থেকে নিয়মিত অভিযান চলবে। সন্ত্রাসী বাহিনীর কার্যক্রম পুরোপুরি নির্মূল সম্ভব না হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ