টাঙ্গাইলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। যমুনা নদীর পানি ১৯ সেন্টিমিটার কমে আজ সোমবার বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের ভূঁঞাপুরের গাবসারা ইউনিয়ন বন্যার পানিতে ভাসছে। এছাড়াও নাগরপুরে বাঁধ ভেঙ্গে বিভিন্ন স্কুল ও ফসলি জমি বন্যায় পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলার ৮টি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে: টাঙ্গাইল সদর, ভূঁঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী, নাগরপুর ও দেলদুয়ার। এসব উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ।
নাগরপুরের গোবিন্দপুর এলাকার বাধ ভেঙ্গে মোকনা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল ও ফসলি জমি বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এতে শত শত মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাটসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ। নাগরপুর উপজেলার চর অঞ্চলের অধিকাংশ বাড়িতে পানি ওঠায় মানুষ এখন সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় ঠিক মতো চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছে না বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। ২৫/৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ভেঙ্গে পড়েছে শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এদিকে, এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকারি সাহায্য অপ্রতুল বলে জানা গেছে। বন্যাকবলিত মানুষ সরকারি সাহায্যের অবেদন জানিয়েছে।
অপরদিকে, জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।