আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানসহ ১৯ জন আসামি পলাতক রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের অধিবেশন কক্ষে বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, '২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট আদালত আদেশ দিলে তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২ জুলাই তারিখে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে হত্যা মামলায় ৫২ জন আসামি এবং বিস্ফোরক মামলায় ৪১ জনকে আসামি করা হয়। সর্বমোট সাতজন তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা দুটি তদন্ত করেছেন। এই মামলা দুটিতে মোট চারশ ৯১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।'
আনিসুল হক বলেন, 'মামলা দুটি দ্রুত বিচারের জন্য ২০১১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য পরিচালিত হচ্ছে। চলতি বছর ২৫ আগস্ট পর্যন্ত একশ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য সমাপ্ত হয়েছে। তারেক রহমানসহ ১৯ জন আসামি পলাতক আছে। ২৫ জন আসামি জেল হাজতে আছে।'
বেগম ফজিলাতুননেসা বাপ্পির এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটরের সংখ্যা ২০ জন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২’ এ মোট ১১টি মামলার বিচার কার্যক্রম চলমান আছে।'
মন্ত্রী বলেন, 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩০ জন প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ২০ জন প্রসিকিউটর কর্মরত আছেন এবং বাকি ১০ জন বর্তমানে ট্রাইব্যুনালের কাজের সঙ্গে জড়িত নেই।'
দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের উত্তরে আনিসুল হক বলেন, 'মৃত্যুদণ্ডাদেশ সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এসব মামলার আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে আপিলের পেপারবুক তৈরির ক্ষেত্রে কিছুটা শ্লথ গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি সম্পূর্ণ সুপ্রীম কোর্টের আওতাধীন হওয়ায় এ ব্যাপারে সরকারের কিছুই করার নেই। বরং সরকার এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে। তারপরও জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সুপ্রীম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।'