জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুই দুর্নীতির মামলায় বিচারক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে দু’টি আপিলের পরবর্তী শুনানি রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
আদালতে খালেদার পক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন এ মামলার শুনানির জন্য সময় আবেদন করেন। সময় আবেদন নাকচ করে শুনানি করতে বললে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন শুনানি করেন। পরে আদালতের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় রবিবার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা(দুদক) দুর্নীতির মামলা দু’টি বিচারাধীন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ বাসুদেব রায়ের আদালতে। ঢাকা মহানগরের বকসিবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালতভবনে এ বিচার চলছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মামলা দু’টির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ধার্য বিচারিক আদালত।
বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১২ মে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন খালেদা জিয়া। গত ১৯ জুন রিটটি খারিজ করে দেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের একক বেঞ্চ(তৃতীয় বেঞ্চ)।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে গত ৭ জুলাই আপিল বিভাগে দু’টি সিএমপি (৭৬৫ ও ৭৬৬) আপিল করেন খালেদা। এ আপিল দু’টির শুনানি শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার।