অবরোধে নাশকতার শঙ্কা নিয়েই আগামী ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থী, যাদের দিকে তাকিয়ে বিএনপি জোটকে কর্মসূচি তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
আসন্ন মাধ্যমিক (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বিএনপি ও শরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের আবদেনে তারা নিশ্চয়ই সাড়া দেবেন। শিক্ষার্থীদের দিকে তাকান, তাদের কথা একবার চিন্তা করেন, যারা পুড়ে মরেছে তাদের দিকে একবার তাকান। এসব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
তিনি আরও বলেন, আল্লার দোহাই, মানবতার দোহাই, শিক্ষার্থীদের দোহাই দিচ্ছি... আর কীভাবে আবেদন জানাব? তারা যা করছেন তা গ্রহণযোগ্য না। আরো তিন দিন সময় আছে, আশা করছি এর মধ্যে তাদের মানবতা জাগ্রত হবে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি- আল্লাহ তাদের রহম দাও।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১১ লাখ ১২ হাজার ৫৯১ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে দুই লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ ১০ হাজার ২৯৫ জন এবার মাধ্যমিক সমাপনীর এ পরীক্ষা দেবে।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যে এবার ছাত্র সাত লাখ ৩৩ হাজার ২২০ জন; আর ছয় লাখ ৯৯ হাজার ৫২৫ জন ছাত্রী।
এবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। গণিত ও উচ্চতর গণিতে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে এবারই প্রথম।
তিনি বলেন, এ বছর থেকে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা নামে নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যার পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হবে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন পরীক্ষার্থীরা স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে বলেও্ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
নাহিদ বলেন, গত বছরও পরীক্ষার সময় সঙ্কট মোকাবেলা করতে হয়েছে। এবারও সমস্যার মধ্যে আছি। আমরা উদ্বিগ্ন, শিক্ষার্থী-অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন। এর প্রভাব ভবিষ্যতে পড়বে। এসব বিষয় শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ সৃষ্টি করে, অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে।
এবার প্রশ্ন ফাঁসে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, শতভাগ সতর্ক আছি আমরা। তবে ফেইসবুকে দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ থেকেই যায়। ফেইসবুকে দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে তা মুছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব