কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মসলেমপুর গ্রামে স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী জাতীয় মহাসড়কের উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মসলেমপুর এলাকার ফাঁকা মাঠ নামক স্থানের একটি লিচু বাগানে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রাতেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই নারী (২৬) পেশায় একজন হোটেল কর্মচারী। ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামে তার স্বামীর বাড়ি। বারো মাইল এলাকার ওই হোটেলে কাজ শেষ করে রাতে স্বামীকে সাথে নিয়ে ভ্যান যোগে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। এসময় উপজেলার মসলেমপুর ফাঁকা মাঠ এলাকা থেকে একদল দুর্বৃত্ত তাদের গতিরোধ করে। এরপর স্বামীকে মারধর করে বেঁধে রেখে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। ঘটনার পরপরই ভেড়ামারা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃতরা হলেন- মসলেমপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল প্রামানিকের ছেলে কালু প্রামানিক (৪৬), ষোল দাগ এলাকার মোজাম্মেল শেখের ছেলে মুর্শিদ শেখ (৪৫), মৃত অকছেদ মন্ডলের ছেলে টিটু মন্ডল ওরফে টিপু (৪২), মৃত নবীর মন্ডলের ছেলে এজাজুল (৪২) এবং মৃত হাবিবুল সরদারের ছেলে ভ্যানচালক রুবেল আলী (২৪)। পুলিশের একটি সূত্র জানায়- প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতদের মধ্যে তিনজন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
এদিকে, ঘটনার পর ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার স্বামীকে পুলিশ ভেড়ামারা থানায় নিয়ে আসে। রাতভর থানায় অবরুদ্ধ রাখা হয় ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার স্বামীকে। সাংবাদিকরা কথা বলার চেষ্টা করলে ভেড়ামারা থানার ওসি আব্দুর রব তালুকদারসহ পুলিশ বাধা দেয়। ভুক্তভোগী নারীকে রাতেই থানায় নেওয়া হলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত তাকে সেখানেই অবস্থান করতে হয়েছে। ঘটনার দীর্ঘ সময় পরও তাকে কোনও চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়নি। এ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান। মামলা শেষে ভুক্তভোগী ওই নারীকে মেডিকেল করানোর জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ৯৯৯-এর কলের ভিত্তিতে সেখানে পুলিশ যায়। এরপর ওই নারী দাবি করেছেন তিনি ধর্ষিত হয়েছেন। তার দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা পাঁচজনকে আটক করেছি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ