টানা অবরোধ আর দফায় দফায় হরতালে মংলা বন্দের আটকা পড়েছে আমদানি করা প্রায় সাড়ে চার হাজার রিকন্ডিশন গাড়ি। এছাড়া দুই হাজারের বেশি মালবোঝাই কন্টেইনারও বন্দরে বসে বসে ভাড়া গুনছে। এ পরিস্থিতে কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে নাশকতার আশঙ্কায় বন্দর জেটি থেকে পণ্য বের না হওয়ায় বিদেশি কাঁচামালের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান। বেকার হয়ে পড়েছেন অনেক শ্রমিক।
গাড়ি আমদানিকারক সূত্রে জানা গেছে, আমদানি করা রিকন্ডিশন গাড়ির মডেল অনুযায়ী প্রতিটি গাড়ির দাম ২০ লাখ থেকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত। আর মংলা বন্দর জেটি ও ইয়ার্ডে প্রায় সাড়ে চার হাজার রিকন্ডিশন গাড়ি আটকে আছে। এছাড়া এ বন্দরে রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানির সঙ্গে প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠান জড়িত রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে বড় ধরনের লোকসান ও পুঁজি হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন ব্যবাসায়ীরা।
মংলা বন্দরের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মোস্তফা কামাল জানান, চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিত ও হরতাল-অবরোধে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাড়ি ছাড় শতকরা প্রায় ৩৫ ভাগ কমে গেছে। এর মধ্যে ৪ ফেব্রুয়ারি এমভি গোল্ডেন ফান নামে একটি জাহাজ ৩০৮টি রিকন্ডিশন গাড়ি নিয়ে বন্দরে এসেছে। আগামী দু’তিন দিনে আরো পাঁচশ গাড়ি নিয়ে বন্দরে আসার অপেক্ষায় রয়েছে আরো একটি জাহাজ।
অন্যদিকে কাস্টমস শুল্ক আইন অনুযায়ী, আমদানি করা রিকন্ডিশন গাড়ি ৪৫ দিনের মধ্যে ছাড়িয়ে নিতে না পারলে তা নিলামে ওঠার কথা। কিন্তু মংলা বন্দরে ব্যবসায়ীদের আনা গাড়ির সিংহভাগই এখনো পড়ে আছে জেটির ইয়ার্ডে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় নাগাদ ছাড়িয়ে না নিলে শুল্ক বিভাগের বিধি অনুয়ায়ী বন্দরে থাকা সাড়ে চার হাজার গাড়ি নিলামে উঠতে পারে। তাই আমদানিকারকরা এখন নিলাম ও ঋণ খেলাপি হওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫/ এস আহমেদ