মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ইভটিজিং ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জেলা পুলিশ। এ ধরনের অপরাধ নির্মূল করতে কুলাউড়া থানা পুলিশকে দুই সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে কুলাউড়া থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত ওপেন হাউস ডে ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ইভটিজিং ও কিশোর গ্যাংয়ের কোনো স্থান কুলাউড়ায় থাকবে না। এ সমস্যা দুই সপ্তাহের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে।’
থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসপি আরও বলেন, ‘পুলিশের সেবা পেতে কোনো ধরনের টাকা লাগে না। সেবার স্বচ্ছতা নিশ্চিতে থানায় চালু করা হয়েছে ‘আপনার এসপি’ নামে একটি ডেস্ক। এর মাধ্যমে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।’
সম্প্রতি কুলাউড়ায় ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এসপি জানান, অপরাধীদের কেউই ছাড় পাবে না। আসামিদের গ্রেপ্তার ও টাকা উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলছে।
আনজুম হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার দ্রুত ও সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে- এখানে কোনো গাফিলতি থাকবে না।’
তিনি আরও হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘থানায় কোনো সালিশি বৈঠক চলবে না। আইনের বাইরে কোনো প্রভাব খাটানো যাবে না। পুলিশ জনগণের বন্ধু, তবে অপরাধের ক্ষেত্রে কোনো আপস নয়।’
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কুলাউড়া সার্কেলের নবাগত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শওকতুল ইসলাম শকু, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেদোয়ান খান, কমিটির সদস্য বদরুল হোসেন খান, উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিম, নায়েবে আমির মো. জাকির হোসেন, সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া ও সুফিয়ান আহমদ, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক খালেদ পারভেজ বখশ, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখইসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, ছাত্র প্রতিনিধি ও সুধীজনসহ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ