রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গাড়িতে পেট্রোলবোমা মেরে যাত্রীহত্যার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণের আদেশের জন্য আগামী ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ রবিবার এ দিন ধার্য করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করে ওই দিন আদেশ দেবেন বলে ধার্য করেন। মামলায় খালেদা জিয়াকে 'পলাতক' দেখান হয়েছে।
অভিযুক্ত ৩৮ জনের মধ্যে সাতজন কারাগারে রয়েছেন। অভিযোগত্রটি গ্রহণ করা হলে খালেদা জিয়াসহ পলাতক ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে। ২০১৫ সালের ৬ মে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) বশির উদ্দিন ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এতে খালেদা জিয়াসহ ৩১ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। রুহুল কবির রিজভীসহ সাতজন জেলহাজতে রয়েছেন। আদালতে বেগম খালেদা জিয়াসহ পলাতক ৩১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। আর সাক্ষী করা হয় ৮১ জনকে।
অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাবেক ছাত্রনেত্রা হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ ৩৮ জন।
২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামে এক যাত্রী।
ওই ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি বিকালে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কে এম নুরুজ্জামান। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/২৫(ঘ) ধারায় দায়ের করা মামলায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির ১৮ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে যাত্রাবাড়ী বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ জুন ২০১৫/শরীফ