একাদশে শ্রেণিতে কলেজে ভর্তির ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে বিঘ্ন ও বিলম্ব ঘটার জন্য নিজেকেই দায়ী করলেন শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ২৫ জুন রাতে একাদশে ভর্তির ফল প্রকাশের কথা থাকলেও তিন দফা পিছিয়ে গতকাল দিবাগত মধ্যরাতে তা প্রকাশ পায়। ফলে দীর্ঘ বিড়ম্বনা ও অনিশ্চয়তার হাত থেকে রক্ষা পায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে খোদ শিক্ষাসচিবই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, 'আমার নিজের কারণেই জটিলতা। আমি নিজে অনলাইনে ভর্তিতে পুশ করেছি। আমার বিরুদ্ধেই লিখেন।' তবে ফল প্রকাশে কেন দেরি হয়েছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি। তবে প্রথমবার বলেই একটু সমস্যা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ২৫ জুন রাত সাড়ে ১১টায় ফল প্রকাশের কথা থাকলেও আবেদনকারীর সংখ্যাধিক্য এবং কারিগরি জটিলতায় ফল প্রকাশে বিলম্ব হয়। মোট শিক্ষার্থী ১১ লাখ ৫৬ হাজার হলেও করলেও মোট আবেদন জমা পড়ে ৩৩ লাখ। কারণ একজন শিক্ষার্থী একাধিক আবেদন করেন বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
জটিলতা কমিয়ে আনতে এবার এসএমএসের পাশাপাশি ঢালাওভাবে অনলাইনে ভর্তি বাধ্যতামূলক করায় হিমশিম খায় ভর্তিতে কারিগরি সহায়তাদানকারী বুয়েটের আইআইসসিটি। বাধ্য হয়ে বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদকে তলব করেন শিক্ষাসচিব। ড. কায়কোবাদের নেতৃত্বে প্রযুক্তিবিদরা রাতদিন ফল প্রকাশের কাজ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ জুন ২০১৫/শরীফ