শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে ঘূর্ণিঝড় কোমেন। গত রাত সাড়ে ৯টার দিকে সন্দ্বীপের কাছ দিয়ে চট্টগ্রামের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি। উপকূলে আছড়ে পড়ার পর বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশঃ দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে কোমেন। এটি এখন নোয়াখালী ও তৎসংলগ্ন স্থলভাগ এলাকায় অবস্থান করছে। নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম স্থলভাগের দিকে সরে গিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে আরও দুর্বল হয়ে যেতে পারে। শুক্রবার সকালে আবহাওয়ার সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা দেখাতে বলা হয়েছে। মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া খবরে এ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে উত্তর বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা ও দ্বীপগুলোতে প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে উপড়ে পড়া গাছের চাপায়। নৌকাডুবি ও দেয়ালধসে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের মোহাম্মদ ইসলাম (৫০), পটুয়াখালীর গলাচিপার নূরুল ইসলাম ফকির (৫৫), ভোলার লালমোহনের মঞ্জুয়ারা বেগম (৫০)। এ ছাড়া মহেশখালীতে জেলে কালা মিয়া (৩৪) ও সাইফুল (২৫) নৌকা ডুবে মারা গেছেন। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ জুলাই ২০১৫/ এস আহমেদ