যানজট নিরসনে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার সীমিত করার প্রস্তাব রেখে সরকার আইন করার চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরিবহনখাত সংশ্লিষ্ট সকল স্টেক-হোল্ডারদের নিয়ে দিনব্যাপী জাতীয় কর্মশালা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য দেন তিনি। এসময় তিনি আরো বলেন, পরিবার প্রতি গাড়ির সংখ্যা নির্ধারণের বিষয়টি প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ায় সংযোজন করা হবে।
আইনটি হলে যানজট নিরসনে রাজধানীর রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়িও নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেও মনে করেন মন্ত্রী।
নতুন এই আইনে নানা বিধান সংযোজনের পাশাপাশি পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণে বিআরটিএর ক্ষমতা বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া চালকের পাশাপাশি কন্ডাক্টরদের লাইসেন্স নেয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় চালকদের লাইসেন্সের বিপরীতে পয়েন্টের ব্যবস্থা রাখা হবে। আইন ভঙ্গ করলে শাস্তির পাশাপাশি লাইসেন্সের কিছু পয়েন্ট কাটা হবে। এভাবে পুরো পয়েন্ট কাটা হয়ে গেলে চালকের লাইসেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। তখন তিনি আর কোনো ধরনের যানবাহন চালাতে পারবেন না।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্যের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন বাংলাদেশে ৫৯ জন হিসেবে বছরে ২১ হাজার ২৪০ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় এ তথ্য সঠিক নয়।
মন্ত্রী আরো বলেন, আইন করে কিছুই হবে না, যদি না আমরা যথাযথ আইন মান্য করি।
এসময় নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য এই আইন কার্যকরী হওয়ার ব্যাপারে নজর রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ‘সড়ক পরিবহন ও ট্রাফিক আইন’ নামে খসড়ায় ২২টি অধ্যায় ও ৩৭২টি ধারা ছিল। ২০১৩ সালে গঠিত কমিটি তা কমিয়ে ১৫ অধ্যায় ও ২৪২টি ধারায় চূড়ান্ত করে। সর্বশেষ খসড়ায় আইনটিকে ১৩টি অধ্যায় ও ৬৩ ধারায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১০ এপ্রিল, ২০১৬/ হিমেল-১২