বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে দেশের রফতানি আয়ের ৮২ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক থেকে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারিভাবে ব্রাজিল, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, চিলি ও রাশিয়াসহ আরও কিছু দেশে বাজার সৃষ্টির জন্য বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠানো হচ্ছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশন নুরুল ইসলাম মিলনের (কুমিল্লা-৮) টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে সংসদে এসব তথ্য দেন।
মহিলা এমপি ফিরোজা বেগমের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ গত অর্থবছরে বিশ্বের ১৯টি দেশের খাদ্যশস্য রফতানি করে ২১ কোটি ১৪ লাখ ৭ হাজার ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৬ হাজার ডলারের শুকনো খাবার রফতানি হয়েছে।
ছলিম উদ্দীনের তরফদারের (নওগাঁ-৩) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গত অর্থবছরে ৩৪ হাজার ২৫৭ মিলিয়ন ডলারের পণ্য বিদেশে রফতানি হয়েছে। মাহমুদ উস সামাদের (সিলেট-৩) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হতে গত অর্থবছরে সৌদি আরব ও হংকংয়ে এক দশমিক ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের শুটকি রফতানি করা হয়েছে। রহমত আলীর (গাজীপুর-৩) অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৪৫টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি আছে।
মমতাজ বেগমের (মানিকগঞ্জ-২) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে দেশে লবনে চাহিদা ১৫ দশমিক ৭৬ লাখ টনের। এর মধ্যে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত উৎপাদনের পরিমাণ এক দশমিক ৬৬ লাখ টন। চাহিদা পূরণের জন্য ২ দশমিক ৫০ লাখ টন লবন আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারকে বিব্রত করার জন্য নারীকর্মী নির্যাতনের ভিডিও আপলোড হয়
সরকারকে বিব্রত করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে নারী নির্যাতনের ভিডিও আপলোড করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।
জাতীয় সংসদে হাবিবুর রহমান মোল্লার(ঢাকা-৫) প্রশ্নের জবাবে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে কিছু লোক বেনামে ৮/১০ বছর আগের বিদেশে বাংলাদেশী নারীকর্মী নির্যাতনের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে। সরকারকে বিব্রত করার জন্য এটা করা হয়।
এসময় মন্ত্রী আরও জানান, নারী কর্মীদের সুরক্ষার জন্য বহুবিধ পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হওয়ায় তাদের সুরক্ষার জন্য অনেকাংশে নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে। সিরাজুল ইসলাম মোল্লার (নরসিংদী-৩) প্রশ্নের জবারে মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ হতে বিভিন্ন সময়ের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫ নারী কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ এক লাখ ২২ হাজার ৭২৯ জন নারী গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সৌদি আরবে গেছেন এক লাখ ২১ হাজার ৩৭৫ জন।
আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জিটুজি প্লাস প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য মালয়েশিয়া থেকে চাহিদাপত্র পাওয়া শুরু হয়েছে। সেদেশ কর্মী পাঠানোর বিষয়টি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১)প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম বলেন, সরকার বিদেশ ফেরত আসা কর্মীদের ড্যাটাবেজ তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে চট্টগ্রাম জেলার কর্মীদের ড্যাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব