সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের উদ্ধারে কোনো রাজনৈতিক তদবির সহ্য করা হবে না। কোন ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব কিংবা রাজনৈতিক বাধা চলবে না। এটি লাখ লাখ মানুষের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের জীবন নিয়ে চিনিমিন খেলার অধিকার কারো নেই। ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের উদ্ধারে কোনো বাধা আসলে তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। আজ চট্টগ্রাম নগরের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় পরিদর্শন শেষে তিনি এ সব কথা বলেন। এর আগে তিনি লালখানবাজারে মতিঝর্ণা ও বাটালি পাহাড় পরিদর্শনে যান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারল আমিন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষ বাঁচলেই তো তার জীবিকার বিষয় আসবে। কিন্তু এখন জীবনকেই ঝুকিতে রেখে পাহাড়ে বসবাস করা, তা তো মানা যায় না। তাই তাদের জীবন রক্ষা করতে হলে তাকে সরিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে হলেও ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে হবে। তবে উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে তাদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থাও করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপর কারো কোন হাত নেই। তবে আমরা নিজেরা তো প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে পারি। সেগুলো আগেভাগেই না নিয়ে, বিপর্যয়ের পর রিঅ্যাকটিভ ভূমিকা অর্থাৎ মরদেহ উদ্ধার করা, ত্রাণ দেওয়া, এগুলো করলে তো হবে না। সারা বছর নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে আমরা যদি শুধু রিঅ্যাকটিভ ভূমিকা পালন করি, তাহলে এই ধরনের মানবিক বিপর্যয় রোধ করা যাবে না। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। সবাইকে বলব, একটা প্রচারণা দরকার, দরকার সচেতনতার। না হয় মন-মানসিকতার পরিবর্তন হবে না। ’
মন্ত্রী সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মেয়র সাহেব, আপনি আগামী বাজেটে যে বরাদ্দ পাবেন, আপনার প্রথম কাজ হবে, চট্টগ্রামের মানুষকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়া। আমি মনে করি, আপনার প্রথম ও প্রধান কাজ হবে জলাবদ্ধতা নিরসন। তবে এ কাজ যে রাতারাতি হয়ে যাবে তা আমি বলছি না। কিন্তু উদ্যোগ তো নিতে হবে।
সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ সময় বলেন, ইতোমধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে কিছু বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন। এ সব কাজ বাস্তবায়ন হলে আশা করছি আগামীতে আমরা এ কাজের সুফল পাব।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার