বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে প্রশিক্ষণ নেয় গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারী জঙ্গিরা। অার তাদের গ্রেনেড ছোড়ার প্রশিক্ষণ দিয়েছিল জঙ্গি আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে র্যাশ ওরফে আবু হাররা। শনিবার পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো জানান, গ্রেনেডের স্প্লিন্টারে শরীরে আঘাত প্রাপ্ত জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছিল র্যাশ। র্যাশ নব্য জেএমবির বড় কোনো পদে না থাকলেও নিহত তামিমের খুব ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল। এছাড়া র্যাশকে জিজ্ঞাসাবাদের পর দ্রুত গুলশান হামলা মামলার চার্জশিট দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গুলশান হলি আর্টিজান হামলার পরিকল্পনায় জড়িত র্যাশ ওরফে আবু হাররাকে গত ২৮শে জুলাই ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নাটোর সিংড়া থেকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির সিটিটিসি এবং পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম জানান, রাশেদ ওরফে র্যাশ ছিল হলি আর্টিজান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীর খুব ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সেও এই হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী। নেপথ্যে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গুলশান হামলায় সে অস্ত্র সরবরাহ করেছে এবং হামলায় অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর সে নব্য জেএমবির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিল। র্যাশকে হলি আর্টিজান মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপ-কমিশনার (ডিসি) মহিবুল ইসলাম, আবদুল মান্নান ও ডিএমপির (ডিসি-মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১লা জুলাই রাত ৯টা ২০ মিনিটে রাজধানীর কূটনৈতিক জোন গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মির পর হত্যা করে। এতে ১৭ বিদেশি ও ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জনের মৃত্যু হয়।
বিডি প্রতিদিন/ ৩০ জুলাই, ২০১৭/ ই জাহান