জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে আইন সংশোধনের মাধ্যমে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডে’র কাঠামোগত পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছেন সংসদ সদস্য ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গণপ্রতিনিধিত্বশীল কমিশন গঠনের মাধ্যমে জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।
আজ জাতীয় সংসদের আইপিডি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন বৃদ্ধিতে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।
নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ (এনসিসি’বি) আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া। সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক। বৈঠকে সংসদীয় কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য বেগম মাহজাবিন মোর্শেদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট টিপু সুলতান বক্তব্য দেন।
মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন এনসিসিবি’র কোঅর্ডিনেটর মিজানুর রহমান বিজয়। আলোচনায় অংশ নেন অ্যাকশন এইড-এর তানজীর হোসেন, সিপিআরডি’র মো. শামছুদ্দোহা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র মিহির বিশ্বাস, সাংবাদিক নিখিল ভদ্র প্রমুখ।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন বিশ্বব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত সমস্যা প্রকট হচ্ছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর জন্য যে আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি উন্নত দেশগুলো দিয়েছে, তা পুরণে তারা কার্যকারী ভূমিকা রাখছে না। এবিষয়ে সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই একমাত্র সরকার প্রধান যিনি জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় আলাদা বরাদ্দ দিয়ে একটি ফান্ড তৈরি করেছেন। এর আগে বাংলাদেশকে বিদেশি সাহায্যের উপর নির্ভর করতে হতো। সরকার যে অর্থ বরাদ্দ করছেন সেটি সঠিকভাবে খরচ হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করার জন্য একটি কার্যকারী অথরিটি থাকা দরকার। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর তত্বাবধানে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করা যেতে পারে। তাহলে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যাবহার নিশ্চিত হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার