বাংলাদেশ রেলওয়েতে আসছে ৪০ টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন)। এসব ইঞ্জিনগুলো ২৪ থেকে ৩৬ মাসের মধ্যে সরবরাহ করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশি টাকায় ৪০টি ইঞ্জিনের চুক্তি অনুযায়ী মূল্য হচ্ছে ১ হাজার ১শ' ২৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। এডিবির অর্থায়নে লোকোমোটিভ ক্রয় করা হচ্ছে।
সোমবার রেলওয়ে ভবনে ইউএসএ এর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রগ্রেস রেলওয়ের সাথে এক চুক্তি হয়। রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো. শাসসুজ্জামান এবং আমেরিকান কোম্পানী প্রগ্রেস রেলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিক ও ডনেল কোম্পানীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন। এ চুক্তির স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।
রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন জানান, রেলওয়েকে যুগোপযোগী উন্নয়নে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। মানুষকে রেলের মাধ্যমে কাঙ্খিত সেবা দেওয়ার জন্য সর্বোত্তম চেষ্টা করা হবে। ইঞ্জিন পাওয়া শুরু করলে অধিক পরিমানে বিভিন্ন রুটে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে এবং এর মাধ্যমে বেশী করে রাজস্ব আহরণ করা যাবে বলে মন্ত্রী জানান। মন্ত্রী এ সময় জানান লোকবল সংকটে সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। দ্রুত লোকবল নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। রেল খাতকে একটি উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তিনি কাজ করবেন। নতুন কোচগুলোকে পয়:নিস্কাশনের পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থা করার জন্য ইতোমধ্যেই তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশও দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৯৪ টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ রয়েছে যার মধ্যে ৫৫ টির অথনৈতিক আয়ুস্কাল (২০ বছর হিসাবে) শেষ হয়ে গেছে। কাজেই দ্রুত এসব ইঞ্জিন প্রতিস্থাপনের জন্য নতুন ইঞ্জিন পাওয়া খুবই দরকার। এ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক (ডিজি) মো. কাজী রফিকুল আলম, রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনের সহকারি একান্ত সচিব (এপিএস) মো. রাশেদ প্রধানসহ রেলওয়ের উধর্তন কর্মকর্তা এবং নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল