সিঙ্গাপুর পার্লামেন্টের স্পিকার মি.তান চুয়ান জিন এমপির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
পরে স্পিকার শিরীন শারমিন জানান, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাপিত পাঁচ দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ। জবাবে মি.তান চুয়ান জিন বলেন, রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বুধবার সিঙ্গাপুর পার্লামেন্টের স্পিকার মি.তান চুয়ান জিনের সঙ্গে পার্লামেন্টস্থ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় তারা দুই দেশের সংসদীয় চর্চা, ব্যবসা-বাণিজ্য, রোহিঙ্গা ইস্যু, জলবায়ু পরিবর্তন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ডিজিটাল রূপান্তরের বিষয়ে আলোচনা করেন।
ড. শিরনী শারমিন চৌধুরী বলেন, অনুন্নত অবস্থা থেকে আজ সিঙ্গাপুর উন্নত দেশ, যা বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রবৃদ্ধির হার ৮.১শতাংশ, দারিদ্র্যের হার ৪০শতাংশ থেকে ২১শতাংশে নেমে এসেছে। নারীর ক্ষমতায়ন, নারী নেতৃত্ব ও নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকার যুগোপযোগী পরিকল্পনা ও নীতি বাস্তবায়নের ফলে সকল ক্ষেত্রে নারীদের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের অর্জন অনন্য। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশও উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মি.তান চুয়ান জিন বলেন, বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল রূপান্তরের বিকল্প নেই। তিনি বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে সিঙ্গাপুরের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান। এ সময় মি.তান চুয়ান জিন সিঙ্গাপুর পার্লামেন্টের কার্যক্রম সম্পর্কে ড. শিরন শারমিন চৌধুরীকে অবহিত করেন।
এসময় ডা. এ এফ এম রূহুল হক এমপি, মো. ইসরাফিল আলম এমপি, মীর মোশতাক আহমেদ রবি এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, আয়েশা ফেরদাউস এমপি, ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, অ্যারোমা দত্ত এমপি, নাহীদ ইজহার খান এমপিসহ সিঙ্গাপুর পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য ও উভয় দেশের সংসদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন