শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২১ মে, ২০২৫ আপডেট: ১৬:১৩, বুধবার, ২১ মে, ২০২৫

যে ভুলে মুসলমানরা আজ পিছিয়ে

সুমন পালিত
প্রিন্ট ভার্সন
যে ভুলে মুসলমানরা আজ পিছিয়ে

ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছিল সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দশকে। ৭০০ বছর ধরে মুসলমানরা জ্ঞানবিজ্ঞানের সব ক্ষেত্রে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছে। স্বীকার করতেই হবে, আড়াই হাজার বছর আগেও জ্ঞানচর্চার বিভিন্ন কেন্দ্র গড়ে  উঠেছিল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। গ্রিসে ঘটেছিল ক্লিউবুলাস, সোলেন, চিলোন, বিয়াম, হেলিম, পিটাকাস, পেরিয়ান্ডার, প্লেটো, সক্রেটিস ও এরিস্টটলের মতো মহাজ্ঞানীর আবির্ভাব। ভারতবর্ষে জন্ম নিয়েছিল আর্য ভট্টের মতো মহাপুরুষ। গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যায় যিনি জগৎবাসীর কাছে আলোকবর্তিকা হিসেবে নিজেকে দাবি করতে পারেন। গণিত বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার ‘শূন্য’ সম্পর্কে ধারণা দেন এই মহান গণিতবিদ। এ কথা ঠিক, ব্যাবিলন ও  মায়া সভ্যতার সময়ও শূন্যের চর্চা ছিল বলে অনুমান করা হয়। সেই প্রাচীনকালে মৌর্য সাম্রাজ্যের মহান সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের আমলে চাণক্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান চর্চায় যে অবদান রেখেছেন, তা এখনো প্রাসঙ্গিক।

ইসলাম ধর্মের অভ্যুদয়ের সময় জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে মানব সভ্যতা এক দুঃসময় অতিক্রম করছিল। সে দুঃসময়ের অবসান ঘটায় মুসলমানদের জ্ঞানচর্চার স্পৃহা। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর প্রতিটি ধর্ম একেকটি সভ্যতার বিকাশ ঘটিয়েছে। জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে প্রতিটি ধর্মের অবদান অনস্বীকার্য। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ ‘বেদ’। বেদের প্রতিশব্দ জ্ঞানার্থ, সত্যার্থ, বিচারার্থ ইত্যাদি। ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মের ধর্মগ্রন্থ ‘বাইবেল’-এর ওল্ড টেস্টামেন্ট এবং নিউ টেস্টামেন্ট। বাইবেল শব্দটির অর্থ বই। এই অভিধাটি অনুসারীদের জ্ঞানের আলোকে আলোকিত হতে উদ্বুদ্ধ করে।  ইসলামের পবিত্র গ্রন্থের নাম ‘কোরআন’। যার অর্থ পঠিত বা পাঠের বিষয়। কোরআনের প্রথম বাণী ‘ইকরা’ শব্দের অর্থ পড়ো। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এই শব্দটি প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে। ইকরা বা পড়ো এই তাৎপর্যপূর্ণ শব্দটি মুসলমানদের মানসজগতে জ্ঞানচর্চার যে তাগিদ সৃষ্টি করে, তা সত্যিকার অর্থে এক বিশ্ব বিপ্লবের ঘটনা।

ইতিহাসবিদ পি. কে হিট্টির মতে, ‘অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রারম্ভ পর্যন্ত আরবি ভাষাভাষী লোকেরা সমগ্র বিশ্বের সভ্যতা ও সংস্কৃতির আলোর দিশারীতে পরিণত হন। তাঁদের মাধ্যমে প্রাচীন বিজ্ঞান ও দর্শন এমনভাবে পুনরুজ্জীবিত, সংযোজিত ও সম্প্রসারিত হয় যে এর ফলে পশ্চিম ইউরোপে রেনেসাঁর উন্মেষ সম্ভবপর হয়।’ ওই সময়ের মুসলিম মনীষীদের উদ্ভাবনী মেধা জ্ঞানবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিরাট সম্ভাবনার দ্বার উদ্ঘাটন করে। বর্তমান বিশ্ব আজও তাদের অসামান্য জ্ঞান ও প্রতিভার স্বাক্ষর বহন করছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে মুসলিম অবদানের সুখ্যাতি করে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ব্রি ফল্ট বলেছেন, ‘বিজ্ঞান আরব সংস্কৃতির কাছে বিশেষভাবে ঋণী।’

ইবনে সিনা মধ্যযুগের জ্ঞানবিজ্ঞানের এক অসাধারণ নাম। তিনি ছিলেন তাঁর সময়ের সেরা চিকিৎসাবিদ। চিকিৎসাবিজ্ঞানী হিসেবে তাঁর অবদান আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্মেষে অবদান রেখেছে। ইবনে সিনার ‘কানুন’ ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। এটিকে চিকিৎসাশাস্ত্রের বাইবেল বলে অভিহিত করা হয়। শল্যবিদ্যা সম্পর্কেও এটি ছিল একটি বিশ্বকোষ। ইবনে সিনার কানুন সম্পর্কে অধ্যাপক হিট্টি বলেছেন, কানুনের আরবি সংস্করণ ১৫৯৩ খ্রিস্টাব্দে রোমে প্রকাশিত হয় এবং সেটা ছিল প্রারম্ভিক যুগের একটি মুদ্রিত গ্রন্থ। আবুল কাশেম আল বুকাছিম, ইবনে রুশদ ছিলেন সেই যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিকিৎসাবিজ্ঞানী।

ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছিল সপ্তম শতাব্দীর প্রথম শতকে। ৭০০ বছর ধরে মুসলমানরা জ্ঞানবিজ্ঞানের জ্যোতির্বিদ্যায় মুসলমান বিজ্ঞানীরা জ্ঞানের আলো জ্বালিয়েছেন মধ্যযুগে। আবুল হাসান বায়ুমণ্ডলসংক্রান্ত প্রতিফলন এবং আল মাইমুন গ্রহের তীর্যক গতি সম্পর্কে তথ্য উদঘাটন করেন। ইবনে জুনাস, নাসির উদ্দিন তুসি ও আল-বাণী-জ্যোতির্বিজ্ঞান-সম্পর্কিত নির্ঘণ্ট প্রণয়ন করেন। ইউরোপে মানমন্দির প্রতিষ্ঠার প্রথম কৃতিত্ব মুসলমানদের। মুসলমানরা ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান থেকেও জ্ঞান আহরণ করেন এবং ভারতীয় গ্রন্থ আরবিতে অনুবাদ করেন।

মধ্যযুগে গণিতশাস্ত্রে আরব মুসলমানদের অগ্রগতি ছিল বিস্ময়কর। মুসলমানরা ইউরোপকে শূন্যের ব্যবহার শিক্ষা দেন। যা তাঁরা অর্জন করেছিলেন ভারতীয়দের কাছ থেকে। অধ্যাপক আর্নল্ডের অভিমত, ‘তাঁরা (মুসলমানরা) প্রকৃতপক্ষে সমতল ক্ষেত্র ও গোলাকার ত্রিকোণমিতির প্রতিষ্ঠাতা। যা প্রকৃতপক্ষে গ্রিক পণ্ডিতদেরও জানা ছিল না।’

আল-খারাজমি ছিলেন তাঁর যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক, গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

রসায়নশাস্ত্র গড়ে উঠেছে আরব বিজ্ঞানী আলকেমির হাত ধরে। হ্যামবোল্ট বলেছেন, আধুনিক রসায়নশাস্ত্র মুসলমানদের উদ্ভাবন এবং এ বিষয়ে তাঁদের কৃতিত্ব অতুলনীয় রূপে বিবেচিত। জাবির ইবনে হাইয়ান, যিনি পশ্চিমা জগতে জেবের নামে পরিচিত তাঁকে আধুনিক রসায়নশাস্ত্রের জনক বলা হয়। রসায়নশাস্ত্রের ওপর তিনি ৫০০ গ্রন্থ রচনা করেন।

দর্শনশাস্ত্রে মুসলমানদের দান পৃথিবীর অন্য যে কোনো জাতির চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। পিকে হিট্টির অভিমত, আরবদের কাছে দর্শনশাস্ত্র ছিল মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি ছেড়ে নিরূপণসাপেক্ষ বস্তুর যথার্থ রূপ বিশ্লেষণের সত্যিকার জ্ঞান। আর আলফ্রেড গুইলিয়াম বলেন, আরবরা প্রাচ্য জ্ঞানের অগ্নিশিখা অনন্তকালের জন্য নির্বাপণকারী মোঙ্গলদের মতো বর্বর হলে ইউরোপের পুনর্জাগরণ আরও শতাধিক বছর বিলম্বিত হতো। আল ফারিবি ছিলেন মুসলিম জাহানের একজন শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ। ইমাম গাজ্জালীর পরিচিতি একজন শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ ও দার্শনিক হিসেবে।

ইতিহাস চর্চায়ও মধ্যযুগের মুসলমানরা উজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন। ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর হাদিস সংকলনে যে নিষ্ঠার পরিচয় দেওয়া হয়েছে তার কোনো তুলনা নেই। আল বালাজুরি, আল ওয়াকিদি আল ইয়াকুবি ইতিহাস চর্চায় অসামান্য কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। আল তাবারি ছিলেন মুসলিম ইতিহাসের জনক। তাঁকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইতিহাসবিদ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, মুসলমানরা তাদের পথ চলার এই গাইড লাইনকে হেলায় হারিয়ে ফেলে ৭০০ বছরের মধ্যেই। মিসরীয় ইতিহাসবিদ ড. রাগিব সারজানি তাঁর ‘উসমানী সালতানাতের ইতিহাস’ বইতে এ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। এতে বলা হয়, পঞ্চদশ শতাব্দী ছিল ইউরোপীয় জ্ঞানবিজ্ঞানের জাগরণের শতক। এ শতাব্দীতে প্রথমে ইতালি ও ফ্রান্স পরে ইংল্যান্ড ও পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশে  বুদ্ধিবৃত্তিক বিপ্লব সংগঠিত হয়। বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শুরু হয় জাগরণ। ইউরোপের এ জাগরণের  প্রচার-প্রসারে মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার সদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখে। এই একটি মাত্র আবিষ্কার ইউরোপীয় বিভিন্ন রাষ্ট্রকে বাদবাকি বিশ্ব থেকে বহু দূর এগিয়ে দেন।

১৪৫০ খ্রিস্টাব্দেও দুনিয়ার অন্যান্য দেশের মতো ইউরোপের সব বইপত্র ছিল হস্তলিখিত। জার্মান প্রকৌশলী ইয়োহানেস গুটেনবার্গ পঞ্চদশ শতকের চল্লিশের দশকে জার্মানির মাইনৎস  নগরীতে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার করেন। অল্প সময়ের মধ্যে তা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বোদ্ধাজনদের মতে,  গুটেনবার্গের এই আবিষ্কার ছিল মানব-ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। যা জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। ১৪৮০ সালে ইউরোপের শতাধিক নগরীতে ছাপাখানা তৈরি হয়। ফলে পঞ্চদশ শতকের বাকি সময় ইউরোপে ছাপা হয় প্রায় ১ কোটি কপি বই। ষোড়শ শতকে ইউরোপে মুদ্রিত বইয়ের সংখ্যা ছিল ২০ কোটিরও ওপরে।

সপ্তদশ শতকে এই সংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়ে যায়! ইউরোপ যখন এই ৪০ কোটি বই অধ্যয়ন করছিল, জ্ঞানবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তারা যখন সমৃদ্ধ হচ্ছিল তখন মুসলিম বিশ্বের অবস্থা কী ছিল? দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, ইউরোপ যখন মুদ্রিত বইয়ের কল্যাণে অভূতপূর্ব বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন তুরস্কের অটোমান সুলতান  কাঠমোল্লাদের  দেওয়া এক অদ্ভুত ফতোয়ায়  সায় দেন। যে ফতোয়ার মাধ্যমে সারা দুনিয়ার মুসলিম জাতির সামনে এগিয়ে চলার বদলে কল্পকথার ভূতের মতো পেছন পানে  হাঁটার আত্মঘাতী ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়।

অটোমান সম্রাটের পোষ্য গ্র্যান্ড মুফতির ফতোয়ায় সাম্রাজ্যে মুদ্রণযন্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মোল্লারা তাদের জারি করা ফতোয়ার পেছনে যুক্তি দেখান, মুদ্রণযন্ত্রের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন ও ধর্মীয় গ্রন্থসমূহের বিকৃতি সাধনের আশঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই  ফতোয়ার ভিত্তিতে সুলতান দ্বিতীয় বায়জিদ ১৪৮৫ সালে তার সাম্রাজ্যে মুদ্রণযন্ত্রের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ফরমান জারি করেন।

ওই ফতোয়ার মাধ্যমে মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ হলেও অটোমান সাম্রাজ্যে বসবাসরত ইহুদিরা নিজেদের ধর্মীয় গ্রন্থ সংরক্ষণে মহামহিম মুদ্রণযন্ত্র আমদানির অনুমতি প্রার্থনা করলে সম্রাট দ্বিতীয় বায়জিদ সম্মতি জানান। ১৪৯৪ সালে তুরস্কের অটোমান সম্রাট ইহুদিদের শর্তাধীনে মুদ্রণযন্ত্র আমদানির অনুমতি দেন। বলা হয়, আমদানি করা মুদ্রণযন্ত্র দিয়ে আরবি বা তুর্কি ভাষার কোনো বই ছাপা যাবে না, কেবল ইহুদিদের হিবরু ভাষার বইপত্র ছাপানোর অনুমতি থাকবে। সপ্তদশ শতকের ১৬১০ সালে লেবাননের খ্রিস্টান আরবদেরও ছাপাখানা স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়। ছাপাখানাটি প্রতিষ্ঠা করা হয় কোজহায়া আশ্রমে। ১৬২৭ সালে গ্রিক অর্থোডক্সদের জন্য ছাপাখানা চালু হয়।

পরবর্তী প্রায় তিন শতাব্দী অটোমান খলিফারা দ্বিতীয় বায়জিদের নীতিতে অবিচল থাকেন। তাঁর পুত্র প্রথম সেলিম আব্বাসীয় খেলাফতের পতন ঘটিয়ে নিজেকে খলিফা ঘোষণা করেন। অটোমান খিলাফতের অধীনে প্রায় ৩০০ বছর ধরে মুদ্রণযন্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। অটোমান সাম্রাজ্যের বাইরেও মুসলমানরা ফতোয়ার কারণে মুদ্রণযন্ত্র থেকে দূরে থাকাকে ধর্মীয় কর্তব্য বলে ভাবে। অবশেষে ১৭১৬ সালে তৎকালীন শাইখুল ইসলাম আবদুল্লাহ আফেন্দি মুদ্রণযন্ত্র ব্যবহারের বৈধতা দিয়ে ফতোয়া জারি করেন। ১৭২৭ সালে অটোমান খিলাফতের মুসলমানদের জন্য বা সাধারণভাবে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজে মুদ্রণযন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়। অটোমান খিলাফতের অন্যান্য অংশে মুদ্রণযন্ত্র  চালু হতে আরও প্রায় শত বছর কেটে যায়। যেমন মিসরের রাজধানী কায়রো মুদ্রণযন্ত্রের প্রথম সাক্ষাৎ লাভ করে ১৮২২ সালে। কায়রোর বুলাক ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। অবশ্য এই কৃতিত্ব ইস্তাম্বুলের মহামহিম খলিফার নয়। মিসরে মুদ্রণযন্ত্র এনেছিলেন মুহাম্মাদ আলি পাশা। যিনি ছিলেন মিসরে অটোমান খলিফার গভর্নর। যার মাধ্যমেই মিসরে মুদ্রণযন্ত্র আসুক না কেন এজন্য সময় রেখেছে ৪০০ বছর। মিসর ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশগুলোর একটি। এশিয়া-আফ্রিকার  অন্যান্য প্রদেশে বিজ্ঞানের এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার পৌঁছাতে যে আরও বেশি দিন সময় লেগেছে তা সহজেই অনুমেয়। জ্ঞানবিজ্ঞানে এগিয়ে থাকা মুসলমানদের অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর কাছ থেকে ৫০০ বছর পিছিয়ে রাখে অটোমান সাম্রাজ্যের গ্র্যান্ড মুফতির একটি বিতর্কিত ফতোয়া। ৩০০ বছর পর মুদ্রণযন্ত্র ব্যবহারে বৈধতা দেওয়া হলেও তা কার্যকর হতে যে সময় লেগেছে তা-ও ক্ষমাহীন অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার দাবি রাখে। এ মুহূর্তে পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রতি চারজনের একজন মুসলমান। যাদের সংখ্যা ২০৫ কোটিরও বেশি। ইহুদিদের সংখ্যা মাত্র দেড় কোটি। অর্থাৎ ইহুদিদের চেয়ে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ১৪০ গুণ বেশি। কিন্তু জ্ঞানবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মুসলমানদের অবদান ক্ষুদ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী ইহুদিদের কত শতাংশ তা নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে।

মধ্যযুগে যারা বিশ্বের জ্ঞানবিজ্ঞানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের পিছিয়ে পড়ার প্রধান কারণ মুদ্রণযন্ত্র থেকে দূরে থাকা। এর ফলে ইউরোপজুড়ে জ্ঞানবিজ্ঞানের ব্যাপক বিস্তার ঘটলেও মুসলমানরা তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এমনকি তুরস্কের অটোমান খেলাফতের অধীনে যেসব ইউরোপীয় দেশ ছিল, সেগুলোর বিকাশও রুদ্ধ হয়েছে প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকার কারণে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পিছিয়ে বলেই ক্ষুদ্র রাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে আরবদের ওপর ছড়ি ঘোরানো সম্ভব হচ্ছে। এ দুরবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ জ্ঞানবিজ্ঞানে আরও মনোযোগ দেওয়া। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে হাজার হাজার কোটি ডলার দামের বিমান উপহার দিয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক সামর্থ্যরে পরিচয় দিয়ে বাহাবা পেলেও জ্ঞানবিজ্ঞানের পেছনে ধনাঢ্য আরব দেশগুলোর বিনিয়োগ আহামরি কিছু নয়। এই মানসিকতার কারণেই মুসলমানরা আজ পশ্চিমা শক্তির মানসিক দাসে পরিণত হচ্ছে। এ লজ্জার অবসানে জ্ঞানবিজ্ঞানের পথে ফিরে যাওয়ার বিকল্প নেই।

 

লেখক : সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

 [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
মূল্যস্ফীতি কমেছে
মূল্যস্ফীতি কমেছে
তারুণ্যের ভাবনা
তারুণ্যের ভাবনা
বেওয়ারিশ হাসপাতাল!
বেওয়ারিশ হাসপাতাল!
রসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসার মানদন্ড
রসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসার মানদন্ড
দেশ কাঁপানো ৩৬ দিন
দেশ কাঁপানো ৩৬ দিন
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
মব সন্ত্রাস থামান
মব সন্ত্রাস থামান
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
সর্বশেষ খবর
বরিশালে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, জন ভোগান্তি
বরিশালে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, জন ভোগান্তি

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
টাঙ্গাইলে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভোটের মার্কা শাপলা নয়, ইসির নীতিগত সিদ্ধান্ত
ভোটের মার্কা শাপলা নয়, ইসির নীতিগত সিদ্ধান্ত

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে কুমিল্লা নগরীর সড়ক-অলিগলি
টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে কুমিল্লা নগরীর সড়ক-অলিগলি

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবারও পুতিনের ওপর ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
আবারও পুতিনের ওপর ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫ মাস পর কবর থেকে 
লাশ উত্তোলন
১৫ মাস পর কবর থেকে  লাশ উত্তোলন

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সোনারগাঁয়ে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
সোনারগাঁয়ে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে: রাশেদ প্রধান
আওয়ামী লীগ চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে: রাশেদ প্রধান

৩৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

নিজস্ব আকাশ প্রতিরক্ষা আনল হুথি
নিজস্ব আকাশ প্রতিরক্ষা আনল হুথি

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামীকাল থেকে বৃষ্টি কমতে পারে
আগামীকাল থেকে বৃষ্টি কমতে পারে

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

১৮ জুলাই বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট পাবেন গ্রাহকরা
১৮ জুলাই বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট পাবেন গ্রাহকরা

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা
বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে মালামালসহ ৯ ডাকাত গ্রেফতার
বাগেরহাটে মালামালসহ ৯ ডাকাত গ্রেফতার

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অতীতের মতো রেজাল্ট দেয়া হবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা
ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অতীতের মতো রেজাল্ট দেয়া হবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ ‍প্রধান উপদেষ্টার
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ ‍প্রধান উপদেষ্টার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ রক্ষায় কুয়েত দূতাবাসের কঠোর পদক্ষেপ
প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ রক্ষায় কুয়েত দূতাবাসের কঠোর পদক্ষেপ

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মিরসরাইয়ে ঝরনায় পড়ে ২ বন্ধুর মৃত্যু
মিরসরাইয়ে ঝরনায় পড়ে ২ বন্ধুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশে ভোটার নিবন্ধনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি
যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশে ভোটার নিবন্ধনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুটকে সরিয়ে টেস্ট ব্যাটিং র‍্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় ব্রুক
রুটকে সরিয়ে টেস্ট ব্যাটিং র‍্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় ব্রুক

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যমুনায় পানি বৃদ্ধি, ভারী বর্ষণে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে
যমুনায় পানি বৃদ্ধি, ভারী বর্ষণে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদক মামলায় স্বামী-স্ত্রীর কারাদণ্ড
মাদক মামলায় স্বামী-স্ত্রীর কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ার আলোচিত সন্ত্রাসী তুফান সরকারের শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্ত্রী গ্রেপ্তার
বগুড়ার আলোচিত সন্ত্রাসী তুফান সরকারের শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্ত্রী গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বেলারুশকে ঢাকায় দূতাবাস খোলার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
বেলারুশকে ঢাকায় দূতাবাস খোলার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ অতিরিক্ত ডিআইজিসহ পুলিশের ১৬ কর্মকর্তাকে বদলি
৫ অতিরিক্ত ডিআইজিসহ পুলিশের ১৬ কর্মকর্তাকে বদলি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জন্মসনদ তুলে দিলো দর্শনা পৌরসভা
জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জন্মসনদ তুলে দিলো দর্শনা পৌরসভা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফরিদা পারভীনকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল
ফরিদা পারভীনকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দক্ষিণে অতিভারি বৃষ্টি, রংপুরে খরা
দক্ষিণে অতিভারি বৃষ্টি, রংপুরে খরা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রাহকদের ৪০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ‘ধামাকা শপিং’
গ্রাহকদের ৪০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ‘ধামাকা শপিং’

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানের জনজীবনে অস্বস্তি
টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানের জনজীবনে অস্বস্তি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে ইয়েমেন
ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে ইয়েমেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সামরিক স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল
সামরিক স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার পতনের খবর ছড়ানোর পরও যাত্রাবাড়ীতে ৫২ জনকে হত্যা করে পুলিশ
হাসিনার পতনের খবর ছড়ানোর পরও যাত্রাবাড়ীতে ৫২ জনকে হত্যা করে পুলিশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন আর শেখ হাসিনার পালানোর পথ নেই : প্রেস সচিব
এখন আর শেখ হাসিনার পালানোর পথ নেই : প্রেস সচিব

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ যাত্রী মেট্রোতে, সবচেয়ে বেশি যে স্টেশনে
গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ যাত্রী মেট্রোতে, সবচেয়ে বেশি যে স্টেশনে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা, অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি
আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা, অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের সেই শরীফকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ
দুদকের সেই শরীফকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের হামলার ক্ষতি দেখে ইসরায়েলের চক্ষু চড়ক গাছ!
ইরানের হামলার ক্ষতি দেখে ইসরায়েলের চক্ষু চড়ক গাছ!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর এই প্রথম সৌদির সঙ্গে ইরানের বৈঠক
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর এই প্রথম সৌদির সঙ্গে ইরানের বৈঠক

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা বৃষ্টিপাত চলবে আরও কয়েকদিন, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
টানা বৃষ্টিপাত চলবে আরও কয়েকদিন, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যেভাবে জানবেন এসএসসির ফল
যেভাবে জানবেন এসএসসির ফল

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে বিমান ঘাঁটি ও গোলাবারুদের গুদাম তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলে বিমান ঘাঁটি ও গোলাবারুদের গুদাম তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান
পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান

১৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির
তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফের ভেঙে পড়ল ভারতীয় যুদ্ধবিমান, পাইলট নিহত
ফের ভেঙে পড়ল ভারতীয় যুদ্ধবিমান, পাইলট নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমার ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের পাশে তারেক রহমান
ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমার ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের পাশে তারেক রহমান

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার কল রেকর্ড ফাঁস : ‘এটা ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি’
হাসিনার কল রেকর্ড ফাঁস : ‘এটা ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা মাউশির
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা মাউশির

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দীপিকার ‘৮ ঘণ্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!
দীপিকার ‘৮ ঘণ্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলারের বাজার হারানোর শঙ্কা
সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলারের বাজার হারানোর শঙ্কা

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি
চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণহত্যার দায়ে শুধু হাসিনা নয়, আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত: ফখরুল
গণহত্যার দায়ে শুধু হাসিনা নয়, আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত: ফখরুল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঋণের ভারে নুয়ে পড়া জনতা ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াচ্ছে
ঋণের ভারে নুয়ে পড়া জনতা ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াচ্ছে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

থামছে না পদ্মার ভাঙন, বিলিন হচ্ছে ঘরবাড়ি
থামছে না পদ্মার ভাঙন, বিলিন হচ্ছে ঘরবাড়ি

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো চবির আরেক শিক্ষার্থীর লাশ
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো চবির আরেক শিক্ষার্থীর লাশ

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরাজ বললেন: ‘এভাবে খেলে কখনো জিতব, কখনো হারব’
মিরাজ বললেন: ‘এভাবে খেলে কখনো জিতব, কখনো হারব’

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

র‌্যাগিংয়ের নামে জুনিয়রদের যৌন হেনস্তার অভিযোগে ৭ ইসরায়েলি সেনা আটক
র‌্যাগিংয়ের নামে জুনিয়রদের যৌন হেনস্তার অভিযোগে ৭ ইসরায়েলি সেনা আটক

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া করেছে তাইওয়ান
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া করেছে তাইওয়ান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম

সম্পাদকীয়

ফের ট্রাম্পের ট্যারিফ তাণ্ডব
ফের ট্রাম্পের ট্যারিফ তাণ্ডব

প্রথম পৃষ্ঠা

কই গেল দুই লাখ তাল গাছ
কই গেল দুই লাখ তাল গাছ

নগর জীবন

সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা
সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা

পেছনের পৃষ্ঠা

সিনেমা হল এখন কার নিয়ন্ত্রণে
সিনেমা হল এখন কার নিয়ন্ত্রণে

শোবিজ

শাবনূর কেন অনীকের স্ত্রী হতে চাননি
শাবনূর কেন অনীকের স্ত্রী হতে চাননি

শোবিজ

ঘরে পৌঁছাবে পদ্মার বিশুদ্ধ পানি
ঘরে পৌঁছাবে পদ্মার বিশুদ্ধ পানি

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তাজুলের টাকার খনি ওয়াসা আর এলজিইডি
তাজুলের টাকার খনি ওয়াসা আর এলজিইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা
ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

মিডিয়াকে হুমকি গণতন্ত্রের পরিপন্থি
মিডিয়াকে হুমকি গণতন্ত্রের পরিপন্থি

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু
কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশে সহায়তা দেবে তুরস্ক
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশে সহায়তা দেবে তুরস্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছে না দাবি আদায়ের আন্দোলন
থামছে না দাবি আদায়ের আন্দোলন

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি
ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি

শোবিজ

ছুটিই যেন কাবরেরার চাকরি
ছুটিই যেন কাবরেরার চাকরি

মাঠে ময়দানে

হতাশায় বিশ্বাস করি না
হতাশায় বিশ্বাস করি না

শোবিজ

দেশ গঠনে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন রয়েছে
দেশ গঠনে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন রয়েছে

নগর জীবন

বিব্রত শ্রদ্ধা...
বিব্রত শ্রদ্ধা...

শোবিজ

জয়ার পুতুল নাচের ইতিকথা
জয়ার পুতুল নাচের ইতিকথা

শোবিজ

ফাইনালের আগে ফাইনাল!
ফাইনালের আগে ফাইনাল!

মাঠে ময়দানে

বিকালে শ্লীলতাহানি রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু
বিকালে শ্লীলতাহানি রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু

দেশগ্রাম

জেলখানা থেকে বের হতে পারতেন না
জেলখানা থেকে বের হতে পারতেন না

নগর জীবন

জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ বহিষ্কৃতদের
জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ বহিষ্কৃতদের

প্রথম পৃষ্ঠা

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার কিংস অ্যারিনায় আফঈদাদের লড়াই
এবার কিংস অ্যারিনায় আফঈদাদের লড়াই

মাঠে ময়দানে

তারা আ.লীগকে ফেরাতে চায়
তারা আ.লীগকে ফেরাতে চায়

নগর জীবন

জোকোভিচ ১৬ সুয়াটেকের দ্বিতীয়
জোকোভিচ ১৬ সুয়াটেকের দ্বিতীয়

মাঠে ময়দানে

ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি আদিল চৌধুরী
ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি আদিল চৌধুরী

নগর জীবন