শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২১ মে, ২০২৫ আপডেট: ১৬:১৩, বুধবার, ২১ মে, ২০২৫

যে ভুলে মুসলমানরা আজ পিছিয়ে

সুমন পালিত
প্রিন্ট ভার্সন
যে ভুলে মুসলমানরা আজ পিছিয়ে

ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছিল সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দশকে। ৭০০ বছর ধরে মুসলমানরা জ্ঞানবিজ্ঞানের সব ক্ষেত্রে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছে। স্বীকার করতেই হবে, আড়াই হাজার বছর আগেও জ্ঞানচর্চার বিভিন্ন কেন্দ্র গড়ে  উঠেছিল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। গ্রিসে ঘটেছিল ক্লিউবুলাস, সোলেন, চিলোন, বিয়াম, হেলিম, পিটাকাস, পেরিয়ান্ডার, প্লেটো, সক্রেটিস ও এরিস্টটলের মতো মহাজ্ঞানীর আবির্ভাব। ভারতবর্ষে জন্ম নিয়েছিল আর্য ভট্টের মতো মহাপুরুষ। গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যায় যিনি জগৎবাসীর কাছে আলোকবর্তিকা হিসেবে নিজেকে দাবি করতে পারেন। গণিত বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার ‘শূন্য’ সম্পর্কে ধারণা দেন এই মহান গণিতবিদ। এ কথা ঠিক, ব্যাবিলন ও  মায়া সভ্যতার সময়ও শূন্যের চর্চা ছিল বলে অনুমান করা হয়। সেই প্রাচীনকালে মৌর্য সাম্রাজ্যের মহান সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের আমলে চাণক্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান চর্চায় যে অবদান রেখেছেন, তা এখনো প্রাসঙ্গিক।

ইসলাম ধর্মের অভ্যুদয়ের সময় জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে মানব সভ্যতা এক দুঃসময় অতিক্রম করছিল। সে দুঃসময়ের অবসান ঘটায় মুসলমানদের জ্ঞানচর্চার স্পৃহা। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর প্রতিটি ধর্ম একেকটি সভ্যতার বিকাশ ঘটিয়েছে। জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে প্রতিটি ধর্মের অবদান অনস্বীকার্য। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ ‘বেদ’। বেদের প্রতিশব্দ জ্ঞানার্থ, সত্যার্থ, বিচারার্থ ইত্যাদি। ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মের ধর্মগ্রন্থ ‘বাইবেল’-এর ওল্ড টেস্টামেন্ট এবং নিউ টেস্টামেন্ট। বাইবেল শব্দটির অর্থ বই। এই অভিধাটি অনুসারীদের জ্ঞানের আলোকে আলোকিত হতে উদ্বুদ্ধ করে।  ইসলামের পবিত্র গ্রন্থের নাম ‘কোরআন’। যার অর্থ পঠিত বা পাঠের বিষয়। কোরআনের প্রথম বাণী ‘ইকরা’ শব্দের অর্থ পড়ো। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এই শব্দটি প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে। ইকরা বা পড়ো এই তাৎপর্যপূর্ণ শব্দটি মুসলমানদের মানসজগতে জ্ঞানচর্চার যে তাগিদ সৃষ্টি করে, তা সত্যিকার অর্থে এক বিশ্ব বিপ্লবের ঘটনা।

ইতিহাসবিদ পি. কে হিট্টির মতে, ‘অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রারম্ভ পর্যন্ত আরবি ভাষাভাষী লোকেরা সমগ্র বিশ্বের সভ্যতা ও সংস্কৃতির আলোর দিশারীতে পরিণত হন। তাঁদের মাধ্যমে প্রাচীন বিজ্ঞান ও দর্শন এমনভাবে পুনরুজ্জীবিত, সংযোজিত ও সম্প্রসারিত হয় যে এর ফলে পশ্চিম ইউরোপে রেনেসাঁর উন্মেষ সম্ভবপর হয়।’ ওই সময়ের মুসলিম মনীষীদের উদ্ভাবনী মেধা জ্ঞানবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিরাট সম্ভাবনার দ্বার উদ্ঘাটন করে। বর্তমান বিশ্ব আজও তাদের অসামান্য জ্ঞান ও প্রতিভার স্বাক্ষর বহন করছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে মুসলিম অবদানের সুখ্যাতি করে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ব্রি ফল্ট বলেছেন, ‘বিজ্ঞান আরব সংস্কৃতির কাছে বিশেষভাবে ঋণী।’

ইবনে সিনা মধ্যযুগের জ্ঞানবিজ্ঞানের এক অসাধারণ নাম। তিনি ছিলেন তাঁর সময়ের সেরা চিকিৎসাবিদ। চিকিৎসাবিজ্ঞানী হিসেবে তাঁর অবদান আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্মেষে অবদান রেখেছে। ইবনে সিনার ‘কানুন’ ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। এটিকে চিকিৎসাশাস্ত্রের বাইবেল বলে অভিহিত করা হয়। শল্যবিদ্যা সম্পর্কেও এটি ছিল একটি বিশ্বকোষ। ইবনে সিনার কানুন সম্পর্কে অধ্যাপক হিট্টি বলেছেন, কানুনের আরবি সংস্করণ ১৫৯৩ খ্রিস্টাব্দে রোমে প্রকাশিত হয় এবং সেটা ছিল প্রারম্ভিক যুগের একটি মুদ্রিত গ্রন্থ। আবুল কাশেম আল বুকাছিম, ইবনে রুশদ ছিলেন সেই যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিকিৎসাবিজ্ঞানী।

ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছিল সপ্তম শতাব্দীর প্রথম শতকে। ৭০০ বছর ধরে মুসলমানরা জ্ঞানবিজ্ঞানের জ্যোতির্বিদ্যায় মুসলমান বিজ্ঞানীরা জ্ঞানের আলো জ্বালিয়েছেন মধ্যযুগে। আবুল হাসান বায়ুমণ্ডলসংক্রান্ত প্রতিফলন এবং আল মাইমুন গ্রহের তীর্যক গতি সম্পর্কে তথ্য উদঘাটন করেন। ইবনে জুনাস, নাসির উদ্দিন তুসি ও আল-বাণী-জ্যোতির্বিজ্ঞান-সম্পর্কিত নির্ঘণ্ট প্রণয়ন করেন। ইউরোপে মানমন্দির প্রতিষ্ঠার প্রথম কৃতিত্ব মুসলমানদের। মুসলমানরা ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান থেকেও জ্ঞান আহরণ করেন এবং ভারতীয় গ্রন্থ আরবিতে অনুবাদ করেন।

মধ্যযুগে গণিতশাস্ত্রে আরব মুসলমানদের অগ্রগতি ছিল বিস্ময়কর। মুসলমানরা ইউরোপকে শূন্যের ব্যবহার শিক্ষা দেন। যা তাঁরা অর্জন করেছিলেন ভারতীয়দের কাছ থেকে। অধ্যাপক আর্নল্ডের অভিমত, ‘তাঁরা (মুসলমানরা) প্রকৃতপক্ষে সমতল ক্ষেত্র ও গোলাকার ত্রিকোণমিতির প্রতিষ্ঠাতা। যা প্রকৃতপক্ষে গ্রিক পণ্ডিতদেরও জানা ছিল না।’

আল-খারাজমি ছিলেন তাঁর যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক, গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

রসায়নশাস্ত্র গড়ে উঠেছে আরব বিজ্ঞানী আলকেমির হাত ধরে। হ্যামবোল্ট বলেছেন, আধুনিক রসায়নশাস্ত্র মুসলমানদের উদ্ভাবন এবং এ বিষয়ে তাঁদের কৃতিত্ব অতুলনীয় রূপে বিবেচিত। জাবির ইবনে হাইয়ান, যিনি পশ্চিমা জগতে জেবের নামে পরিচিত তাঁকে আধুনিক রসায়নশাস্ত্রের জনক বলা হয়। রসায়নশাস্ত্রের ওপর তিনি ৫০০ গ্রন্থ রচনা করেন।

দর্শনশাস্ত্রে মুসলমানদের দান পৃথিবীর অন্য যে কোনো জাতির চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। পিকে হিট্টির অভিমত, আরবদের কাছে দর্শনশাস্ত্র ছিল মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি ছেড়ে নিরূপণসাপেক্ষ বস্তুর যথার্থ রূপ বিশ্লেষণের সত্যিকার জ্ঞান। আর আলফ্রেড গুইলিয়াম বলেন, আরবরা প্রাচ্য জ্ঞানের অগ্নিশিখা অনন্তকালের জন্য নির্বাপণকারী মোঙ্গলদের মতো বর্বর হলে ইউরোপের পুনর্জাগরণ আরও শতাধিক বছর বিলম্বিত হতো। আল ফারিবি ছিলেন মুসলিম জাহানের একজন শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ। ইমাম গাজ্জালীর পরিচিতি একজন শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ ও দার্শনিক হিসেবে।

ইতিহাস চর্চায়ও মধ্যযুগের মুসলমানরা উজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন। ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর হাদিস সংকলনে যে নিষ্ঠার পরিচয় দেওয়া হয়েছে তার কোনো তুলনা নেই। আল বালাজুরি, আল ওয়াকিদি আল ইয়াকুবি ইতিহাস চর্চায় অসামান্য কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। আল তাবারি ছিলেন মুসলিম ইতিহাসের জনক। তাঁকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইতিহাসবিদ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, মুসলমানরা তাদের পথ চলার এই গাইড লাইনকে হেলায় হারিয়ে ফেলে ৭০০ বছরের মধ্যেই। মিসরীয় ইতিহাসবিদ ড. রাগিব সারজানি তাঁর ‘উসমানী সালতানাতের ইতিহাস’ বইতে এ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। এতে বলা হয়, পঞ্চদশ শতাব্দী ছিল ইউরোপীয় জ্ঞানবিজ্ঞানের জাগরণের শতক। এ শতাব্দীতে প্রথমে ইতালি ও ফ্রান্স পরে ইংল্যান্ড ও পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশে  বুদ্ধিবৃত্তিক বিপ্লব সংগঠিত হয়। বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শুরু হয় জাগরণ। ইউরোপের এ জাগরণের  প্রচার-প্রসারে মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার সদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখে। এই একটি মাত্র আবিষ্কার ইউরোপীয় বিভিন্ন রাষ্ট্রকে বাদবাকি বিশ্ব থেকে বহু দূর এগিয়ে দেন।

১৪৫০ খ্রিস্টাব্দেও দুনিয়ার অন্যান্য দেশের মতো ইউরোপের সব বইপত্র ছিল হস্তলিখিত। জার্মান প্রকৌশলী ইয়োহানেস গুটেনবার্গ পঞ্চদশ শতকের চল্লিশের দশকে জার্মানির মাইনৎস  নগরীতে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার করেন। অল্প সময়ের মধ্যে তা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বোদ্ধাজনদের মতে,  গুটেনবার্গের এই আবিষ্কার ছিল মানব-ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। যা জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। ১৪৮০ সালে ইউরোপের শতাধিক নগরীতে ছাপাখানা তৈরি হয়। ফলে পঞ্চদশ শতকের বাকি সময় ইউরোপে ছাপা হয় প্রায় ১ কোটি কপি বই। ষোড়শ শতকে ইউরোপে মুদ্রিত বইয়ের সংখ্যা ছিল ২০ কোটিরও ওপরে।

সপ্তদশ শতকে এই সংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়ে যায়! ইউরোপ যখন এই ৪০ কোটি বই অধ্যয়ন করছিল, জ্ঞানবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তারা যখন সমৃদ্ধ হচ্ছিল তখন মুসলিম বিশ্বের অবস্থা কী ছিল? দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, ইউরোপ যখন মুদ্রিত বইয়ের কল্যাণে অভূতপূর্ব বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন তুরস্কের অটোমান সুলতান  কাঠমোল্লাদের  দেওয়া এক অদ্ভুত ফতোয়ায়  সায় দেন। যে ফতোয়ার মাধ্যমে সারা দুনিয়ার মুসলিম জাতির সামনে এগিয়ে চলার বদলে কল্পকথার ভূতের মতো পেছন পানে  হাঁটার আত্মঘাতী ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়।

অটোমান সম্রাটের পোষ্য গ্র্যান্ড মুফতির ফতোয়ায় সাম্রাজ্যে মুদ্রণযন্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মোল্লারা তাদের জারি করা ফতোয়ার পেছনে যুক্তি দেখান, মুদ্রণযন্ত্রের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন ও ধর্মীয় গ্রন্থসমূহের বিকৃতি সাধনের আশঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই  ফতোয়ার ভিত্তিতে সুলতান দ্বিতীয় বায়জিদ ১৪৮৫ সালে তার সাম্রাজ্যে মুদ্রণযন্ত্রের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ফরমান জারি করেন।

ওই ফতোয়ার মাধ্যমে মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ হলেও অটোমান সাম্রাজ্যে বসবাসরত ইহুদিরা নিজেদের ধর্মীয় গ্রন্থ সংরক্ষণে মহামহিম মুদ্রণযন্ত্র আমদানির অনুমতি প্রার্থনা করলে সম্রাট দ্বিতীয় বায়জিদ সম্মতি জানান। ১৪৯৪ সালে তুরস্কের অটোমান সম্রাট ইহুদিদের শর্তাধীনে মুদ্রণযন্ত্র আমদানির অনুমতি দেন। বলা হয়, আমদানি করা মুদ্রণযন্ত্র দিয়ে আরবি বা তুর্কি ভাষার কোনো বই ছাপা যাবে না, কেবল ইহুদিদের হিবরু ভাষার বইপত্র ছাপানোর অনুমতি থাকবে। সপ্তদশ শতকের ১৬১০ সালে লেবাননের খ্রিস্টান আরবদেরও ছাপাখানা স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়। ছাপাখানাটি প্রতিষ্ঠা করা হয় কোজহায়া আশ্রমে। ১৬২৭ সালে গ্রিক অর্থোডক্সদের জন্য ছাপাখানা চালু হয়।

পরবর্তী প্রায় তিন শতাব্দী অটোমান খলিফারা দ্বিতীয় বায়জিদের নীতিতে অবিচল থাকেন। তাঁর পুত্র প্রথম সেলিম আব্বাসীয় খেলাফতের পতন ঘটিয়ে নিজেকে খলিফা ঘোষণা করেন। অটোমান খিলাফতের অধীনে প্রায় ৩০০ বছর ধরে মুদ্রণযন্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। অটোমান সাম্রাজ্যের বাইরেও মুসলমানরা ফতোয়ার কারণে মুদ্রণযন্ত্র থেকে দূরে থাকাকে ধর্মীয় কর্তব্য বলে ভাবে। অবশেষে ১৭১৬ সালে তৎকালীন শাইখুল ইসলাম আবদুল্লাহ আফেন্দি মুদ্রণযন্ত্র ব্যবহারের বৈধতা দিয়ে ফতোয়া জারি করেন। ১৭২৭ সালে অটোমান খিলাফতের মুসলমানদের জন্য বা সাধারণভাবে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজে মুদ্রণযন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়। অটোমান খিলাফতের অন্যান্য অংশে মুদ্রণযন্ত্র  চালু হতে আরও প্রায় শত বছর কেটে যায়। যেমন মিসরের রাজধানী কায়রো মুদ্রণযন্ত্রের প্রথম সাক্ষাৎ লাভ করে ১৮২২ সালে। কায়রোর বুলাক ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। অবশ্য এই কৃতিত্ব ইস্তাম্বুলের মহামহিম খলিফার নয়। মিসরে মুদ্রণযন্ত্র এনেছিলেন মুহাম্মাদ আলি পাশা। যিনি ছিলেন মিসরে অটোমান খলিফার গভর্নর। যার মাধ্যমেই মিসরে মুদ্রণযন্ত্র আসুক না কেন এজন্য সময় রেখেছে ৪০০ বছর। মিসর ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশগুলোর একটি। এশিয়া-আফ্রিকার  অন্যান্য প্রদেশে বিজ্ঞানের এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার পৌঁছাতে যে আরও বেশি দিন সময় লেগেছে তা সহজেই অনুমেয়। জ্ঞানবিজ্ঞানে এগিয়ে থাকা মুসলমানদের অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর কাছ থেকে ৫০০ বছর পিছিয়ে রাখে অটোমান সাম্রাজ্যের গ্র্যান্ড মুফতির একটি বিতর্কিত ফতোয়া। ৩০০ বছর পর মুদ্রণযন্ত্র ব্যবহারে বৈধতা দেওয়া হলেও তা কার্যকর হতে যে সময় লেগেছে তা-ও ক্ষমাহীন অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার দাবি রাখে। এ মুহূর্তে পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রতি চারজনের একজন মুসলমান। যাদের সংখ্যা ২০৫ কোটিরও বেশি। ইহুদিদের সংখ্যা মাত্র দেড় কোটি। অর্থাৎ ইহুদিদের চেয়ে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ১৪০ গুণ বেশি। কিন্তু জ্ঞানবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মুসলমানদের অবদান ক্ষুদ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী ইহুদিদের কত শতাংশ তা নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে।

মধ্যযুগে যারা বিশ্বের জ্ঞানবিজ্ঞানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের পিছিয়ে পড়ার প্রধান কারণ মুদ্রণযন্ত্র থেকে দূরে থাকা। এর ফলে ইউরোপজুড়ে জ্ঞানবিজ্ঞানের ব্যাপক বিস্তার ঘটলেও মুসলমানরা তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এমনকি তুরস্কের অটোমান খেলাফতের অধীনে যেসব ইউরোপীয় দেশ ছিল, সেগুলোর বিকাশও রুদ্ধ হয়েছে প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকার কারণে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পিছিয়ে বলেই ক্ষুদ্র রাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে আরবদের ওপর ছড়ি ঘোরানো সম্ভব হচ্ছে। এ দুরবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ জ্ঞানবিজ্ঞানে আরও মনোযোগ দেওয়া। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে হাজার হাজার কোটি ডলার দামের বিমান উপহার দিয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক সামর্থ্যরে পরিচয় দিয়ে বাহাবা পেলেও জ্ঞানবিজ্ঞানের পেছনে ধনাঢ্য আরব দেশগুলোর বিনিয়োগ আহামরি কিছু নয়। এই মানসিকতার কারণেই মুসলমানরা আজ পশ্চিমা শক্তির মানসিক দাসে পরিণত হচ্ছে। এ লজ্জার অবসানে জ্ঞানবিজ্ঞানের পথে ফিরে যাওয়ার বিকল্প নেই।

 

লেখক : সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

 [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
মামলাজট
মামলাজট
চালের দামে দুশ্চিন্তা
চালের দামে দুশ্চিন্তা
ইলিশের একাল-সেকাল
ইলিশের একাল-সেকাল
আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা
আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা
সার্বিক সমৃদ্ধির সোপান
সার্বিক সমৃদ্ধির সোপান
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আসন্ন!
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আসন্ন!
গ্যাসসংকট
গ্যাসসংকট
ন্যায্যতার বিচারে পদক্ষেপ নিন
ন্যায্যতার বিচারে পদক্ষেপ নিন
নবীজি (সা.)-এর সমরজীবন ও আজকের যুদ্ধবাস্তবতা
নবীজি (সা.)-এর সমরজীবন ও আজকের যুদ্ধবাস্তবতা
ন্যানো প্রযুক্তির কৃষিতে বাংলাদেশ
ন্যানো প্রযুক্তির কৃষিতে বাংলাদেশ
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কি কেটেছে
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কি কেটেছে
বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তন আবশ্যক
বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তন আবশ্যক
সর্বশেষ খবর
১২ বছর পর বড় পর্দায় ফিরছে দেব-শুভশ্রী জুটি
১২ বছর পর বড় পর্দায় ফিরছে দেব-শুভশ্রী জুটি

২৬ মিনিট আগে | শোবিজ

ইসরায়েলে নতুন হামলা চালিয়েছে ইরান
ইসরায়েলে নতুন হামলা চালিয়েছে ইরান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কমছে বৃষ্টি, বাড়ছে তাপমাত্রা
কমছে বৃষ্টি, বাড়ছে তাপমাত্রা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানি এফ-১৪ যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলা
ইরানি এফ-১৪ যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনিশ্চয়তা ও উৎকণ্ঠায় আবাসন ব্যবসায়ীরা
অনিশ্চয়তা ও উৎকণ্ঠায় আবাসন ব্যবসায়ীরা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা
ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

গাজার দক্ষিণে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত ২
গাজার দক্ষিণে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত ২

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে দুই ইউনিট
হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে দুই ইউনিট

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রাজিলে হট এয়ার বেলুন দুর্ঘটনায় নিহত ৮
ব্রাজিলে হট এয়ার বেলুন দুর্ঘটনায় নিহত ৮

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওয়াসিম আকরামকে পেছনে ফেললেন বুমরাহ
ওয়াসিম আকরামকে পেছনে ফেললেন বুমরাহ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের ওপর হামলা নিয়ে দ্বিমুখী চাপে ট্রাম্প
ইরানের ওপর হামলা নিয়ে দ্বিমুখী চাপে ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাচুকার বিপক্ষেও এমবাপ্পেকে পাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদ
পাচুকার বিপক্ষেও এমবাপ্পেকে পাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করবে না: মাসুদ পেজেশকিয়ান
ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করবে না: মাসুদ পেজেশকিয়ান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিএমপির ওয়ারী বিভাগে শুরু হলো ‘নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ’
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগে শুরু হলো ‘নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ’

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লন্ডনে বিশাল র‍্যালিতে উড়লো ইরানের পতাকা
লন্ডনে বিশাল র‍্যালিতে উড়লো ইরানের পতাকা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরের ‘সিতারে জমিন পর’: ভিন্নধর্মী গল্পে বক্স অফিসে সাড়া
আমিরের ‘সিতারে জমিন পর’: ভিন্নধর্মী গল্পে বক্স অফিসে সাড়া

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

১৬ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন বলিউড অভিনেত্রী
১৬ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন বলিউড অভিনেত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নারায়ণগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত
নারায়ণগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকে অনেকেরই গা জ্বলতেছে: শামা ওবায়েদ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকে অনেকেরই গা জ্বলতেছে: শামা ওবায়েদ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্লাব বিশ্বকাপে টানা দুই জয়ে নকআউটে বায়ার্ন
ক্লাব বিশ্বকাপে টানা দুই জয়ে নকআউটে বায়ার্ন

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অবসরবেলায় ম্যাথিউসের আবেগঘন বার্তা
অবসরবেলায় ম্যাথিউসের আবেগঘন বার্তা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সম্ভাব্য উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন খামেনি
সম্ভাব্য উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন খামেনি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির মৃত্যু, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর ক্লিনিক ঘেরাও
অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির মৃত্যু, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর ক্লিনিক ঘেরাও

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলে ইরানের ৮ হামলা
২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলে ইরানের ৮ হামলা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় করতোয়া নদী সুরক্ষায় পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন
বগুড়ায় করতোয়া নদী সুরক্ষায় পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গুয়ামে যাচ্ছে বি-২ বোমারু বিমান, ইরানে মার্কিন হামলার জল্পনা
গুয়ামে যাচ্ছে বি-২ বোমারু বিমান, ইরানে মার্কিন হামলার জল্পনা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের মনোনয়নে গুরুত্ব পাবেন ত্যাগী ও জনবান্ধব নেতারা : খোকন
নির্বাচনের মনোনয়নে গুরুত্ব পাবেন ত্যাগী ও জনবান্ধব নেতারা : খোকন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাবিপ্রবি ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, দুই শিক্ষার্থী গ্রেফতার
শাবিপ্রবি ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, দুই শিক্ষার্থী গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে হাইকমিশনের ঈদ আনন্দ উৎসব
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে হাইকমিশনের ঈদ আনন্দ উৎসব

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

সর্বাধিক পঠিত
ইরান কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে : তুলসি গ্যাবার্ড
ইরান কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে : তুলসি গ্যাবার্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় টিকে থাকার ‘খায়েশ’ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ক্লিনটনের
নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় টিকে থাকার ‘খায়েশ’ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ক্লিনটনের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি ইরানে ভূকম্পনের কারণ গোপন পারমাণবিক পরীক্ষা?
সত্যিই কি ইরানে ভূকম্পনের কারণ গোপন পারমাণবিক পরীক্ষা?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী মাস থেকে ৩৩ লাখ শিশু পাবে দুপুরের খাবার
আগামী মাস থেকে ৩৩ লাখ শিশু পাবে দুপুরের খাবার

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরান থেকে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, মধ্য ইসরায়েলে ব্যাপক বিস্ফোরণ
ইরান থেকে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, মধ্য ইসরায়েলে ব্যাপক বিস্ফোরণ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে কেন এতো ভারতীয়, কী করেন তারা
ইসরায়েলে কেন এতো ভারতীয়, কী করেন তারা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তের ‘আকাশে সন্দেহজনক বস্তু’ নিয়ে আতঙ্ক, ভূপাতিতের দাবি ইসরায়েলের
সীমান্তের ‘আকাশে সন্দেহজনক বস্তু’ নিয়ে আতঙ্ক, ভূপাতিতের দাবি ইসরায়েলের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলার নেতৃত্বে ড্রোন: আইআরজিসি
ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলার নেতৃত্বে ড্রোন: আইআরজিসি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে কার কাছে কত পরমাণু অস্ত্র আছে?
বিশ্বে কার কাছে কত পরমাণু অস্ত্র আছে?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘জয় ইরানেরই হবে’
‌‘জয় ইরানেরই হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোড়া সেঞ্চুরিতে ইতিহাসের পাতায় শান্ত
জোড়া সেঞ্চুরিতে ইতিহাসের পাতায় শান্ত

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ কমছে, ইসরায়েলি দাবি প্রত্যাখ্যান করল তেহরান
ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ কমছে, ইসরায়েলি দাবি প্রত্যাখ্যান করল তেহরান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে'
'ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে'

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'ইরানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলিদের প্রস্তুত থাকতে হবে'
'ইরানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলিদের প্রস্তুত থাকতে হবে'

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুয়ামে যাচ্ছে বি-২ বোমারু বিমান, ইরানে মার্কিন হামলার জল্পনা
গুয়ামে যাচ্ছে বি-২ বোমারু বিমান, ইরানে মার্কিন হামলার জল্পনা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট: ৬০ ঘণ্টা ধরে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ইরান
ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট: ৬০ ঘণ্টা ধরে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ইরান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোসাদের ৫৪ গুপ্তচরকে গ্রেফতার করল ইরান
মোসাদের ৫৪ গুপ্তচরকে গ্রেফতার করল ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রকে হুথির নতুন হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রকে হুথির নতুন হুঁশিয়ারি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ল আরও এক ঝাঁক ইরানি ড্রোন
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ল আরও এক ঝাঁক ইরানি ড্রোন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ত্রিপক্ষীয় নতুন জোট করবে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান
ত্রিপক্ষীয় নতুন জোট করবে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প
ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ ‌‘বাস্তব এবং আসন্ন’, ইরানকে কড়া বার্তা ওয়াশিংটনের
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ ‌‘বাস্তব এবং আসন্ন’, ইরানকে কড়া বার্তা ওয়াশিংটনের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সম্ভাব্য উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন খামেনি
সম্ভাব্য উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন খামেনি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যার হুমকি, ইরানি ইহুদি-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নিন্দা
খামেনিকে হত্যার হুমকি, ইরানি ইহুদি-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নিন্দা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢামেক বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢামেক বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দশম পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলো ইরান
দশম পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলো ইরান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানালেন আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা
ইরানে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানালেন আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধ বন্ধের একমাত্র উপায় ইসরায়েলের নিঃশর্ত সমাপ্তি: ইরান
যুদ্ধ বন্ধের একমাত্র উপায় ইসরায়েলের নিঃশর্ত সমাপ্তি: ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান কখনোই পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না, দাবি ফরাসি প্রেসিডেন্টের
ইরান কখনোই পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না, দাবি ফরাসি প্রেসিডেন্টের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আট মাসে হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিক্রি করেছেন বিপু
আট মাসে হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিক্রি করেছেন বিপু

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ায় বাজবে ট্রেনের হুইসল
বগুড়ায় বাজবে ট্রেনের হুইসল

পেছনের পৃষ্ঠা

দুই কক্ষের সংসদের পথে দেশ
দুই কক্ষের সংসদের পথে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই বাংলাদেশির জেল যুক্তরাষ্ট্রে
দুই বাংলাদেশির জেল যুক্তরাষ্ট্রে

পেছনের পৃষ্ঠা

সুইস ব্যাংকে কেন আমানতের পাহাড়
সুইস ব্যাংকে কেন আমানতের পাহাড়

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

করোনায় ফের সিন্ডিকেট
করোনায় ফের সিন্ডিকেট

পেছনের পৃষ্ঠা

চুনাপাথর খনি থেকে পর্যটন স্পট
চুনাপাথর খনি থেকে পর্যটন স্পট

পেছনের পৃষ্ঠা

শঙ্কা কাটেনি সর্বাত্মক যুদ্ধের
শঙ্কা কাটেনি সর্বাত্মক যুদ্ধের

প্রথম পৃষ্ঠা

অবরোধ লাঠিচার্জ তুলকালাম
অবরোধ লাঠিচার্জ তুলকালাম

প্রথম পৃষ্ঠা

চেয়েছিলাম শুধুই লেখক হতে অথচ হয়ে গেলাম নির্মাতা
চেয়েছিলাম শুধুই লেখক হতে অথচ হয়ে গেলাম নির্মাতা

শোবিজ

ধরাছোঁয়ার বাইরে তিন গভর্নর
ধরাছোঁয়ার বাইরে তিন গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধু চান মম...
বন্ধু চান মম...

শোবিজ

এশিয়া জিতে অলিম্পিকে চোখ আলিফের
এশিয়া জিতে অলিম্পিকে চোখ আলিফের

মাঠে ময়দানে

মিথ্যা অভিযোগে ১০ মাস ধরে কারাগারে দিলীপ
মিথ্যা অভিযোগে ১০ মাস ধরে কারাগারে দিলীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

জোড়া সেঞ্চুরিতে নাজমুলের রেকর্ড
জোড়া সেঞ্চুরিতে নাজমুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

সাদা পোশাক তুলে রাখলেন ম্যাথিউস
সাদা পোশাক তুলে রাখলেন ম্যাথিউস

মাঠে ময়দানে

গানেই আলোচিত সিনেমা
গানেই আলোচিত সিনেমা

শোবিজ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি আশরাফুলের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি আশরাফুলের

মাঠে ময়দানে

বিপাকে শাহরুখ
বিপাকে শাহরুখ

শোবিজ

এক যুগ পর শুভশ্রী
এক যুগ পর শুভশ্রী

শোবিজ

সাতবিলা চ্যাম্পিয়ন
সাতবিলা চ্যাম্পিয়ন

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশকে ৪ নম্বরে দেখতে চাই
বাংলাদেশকে ৪ নম্বরে দেখতে চাই

মাঠে ময়দানে

বোমা ফাটালেন বিল ক্লিনটন
বোমা ফাটালেন বিল ক্লিনটন

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

ত্রিপক্ষীয় নতুন জোট করবে বাংলাদেশ চীন পাকিস্তান
ত্রিপক্ষীয় নতুন জোট করবে বাংলাদেশ চীন পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বর্ণ কারিগরকে হত্যার পর বেঁধে রাখা হলো গাছে
স্বর্ণ কারিগরকে হত্যার পর বেঁধে রাখা হলো গাছে

প্রথম পৃষ্ঠা

রোমাঞ্চ ছড়িয়ে গল টেস্ট ড্র
রোমাঞ্চ ছড়িয়ে গল টেস্ট ড্র

প্রথম পৃষ্ঠা

সংস্কার নেই ক্ষতবিক্ষত সড়ক
সংস্কার নেই ক্ষতবিক্ষত সড়ক

দেশগ্রাম

সরকার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয় : সিইসি
সরকার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয় : সিইসি

প্রথম পৃষ্ঠা