রাশিয়া এবং ইউক্রেন অবিলম্বেই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দুই ঘণ্টার ফোনালাপের পর তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। ফোনে এই আলাপের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বলেছেন, তিনি ইউক্রেন প্রশ্নে ‘আপস’ করা নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে কোনো সুরাহায় না পৌঁছতে পারা এবং দুই দেশে শান্তি ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টার মধ্যে সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ফোনে এ আলাপ করলেন ট্রাম্প। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, আলোচনা ‘খুব ভালো’ হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে তার। ট্রাম্প লিখেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেন শিগগিরই যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এ যুদ্ধের অবসান ঘটানো।’
ওদিকে, ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনাকে খোলামেলা বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি এই আলাপকে ‘গঠনমূলক’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
পুতিন বলেন, ‘এ আলোচনা খুবই উপকারী হয়েছে। প্রথমেই আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছি, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির লক্ষ্যে সরাসরি আলোচনা শুরুর জন্য সহায়তা করায়।’ ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যুদ্ধবিরতির বিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। আমি তাকে জানিয়েছি, রাশিয়াও ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির পক্ষে। এখন আমাদের করণীয় হলো শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে কার্যকর উপায় নির্ধারণ করা।’
পুতিন আগে যে ভাষায় কথা বলেছিলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে তার চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। পুতিন বলেন, রাশিয়া ভবিষ্যতে সম্ভাবনাময় একটি শান্তিচুক্তির স্মারক নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে তারা সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতিসহ অন্যান্য বিষয়ও নির্ধারণ করবে। তবে পুতিনের এ কথার মধ্য দিয়ে রাশিয়ার অবস্থানে বড় কোনো পরিবর্তন হয়েছে কিনা সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। বরং পুতিন আবারও বলেছেন, ‘সংকটের মূল কারণগুলো’ অর্থাৎ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পেছনের যুক্তিগুলো সমাধান করতেই হবে।
ওদিকে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরুর পর যোগাযোগ এখনো অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সমাধান আসেনি।
পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাশিয়া এখন ‘সমঝোতার পথ’ নিয়েও আলোচনা করতে ইচ্ছুক। তবে এই সমঝোতার প্রকৃতি ও শর্তগুলো এখনো স্পষ্ট নয়।