অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যানের অপসারণসহ সাত দফা দাবি আদায়ে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন সমিতির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) রাহাত হোসেন, আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান ভুঁইয়া, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) আব্দুল হাকিম, মনির হোসেন, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হাসানুজ্জামান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহাল এবং দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, এক ও অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণসহ বিদ্যমান সংকট নিরসনে আলোচনা চেয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ও পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের কাছে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল।
তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো পক্ষ সাড়া না দেওয়ায় আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
সমিতির ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। দাবিগুলো হলো—
১. পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়ন করে কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীলকারী আরইবি চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে।
২. এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ অথবা দেশের অন্যান্য বিতরণ সংস্থার মতো পুনর্গঠন করতে হবে।
৩. মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পিয়নসহ অস্থায়ী কর্মীদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।
৪. মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল করতে হবে।
৫. গ্রাহক সেবার স্বার্থে লাইনক্রুসহ সকল হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল করতে হবে এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন দিতে হবে।
৬. জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা বা শিফটিং ডিউটি চালু করতে হবে এবং দ্রুত জনবল সংকট পূরণ করতে হবে।
৭. সম্পূর্ণ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক