পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশনায় পরিবেশ অধিদপ্তর চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত দেশজুড়ে পরিবেশদূষণবিরোধী ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে। এই সময়ে ১ হাজার ১৯১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ এবং নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে মোট ২ হাজার ৮৪৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আদায় করা হয়েছে ২৫ কোটি ৬১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উৎস যেমন– কালো ধোঁয়া নির্গতকারী যানবাহন, অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, পরিবেশ ঝুঁকিপূর্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সীসা-ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, খোলা জায়গায় নির্মাণসামগ্রী সংরক্ষণ এবং টায়ার পাইরোলাইসিস ও চারকোল কারখানার বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় ৪৮৩টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং আরও ২১৬টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৩২টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে, পাশাপাশি ৯১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সেবা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অভিযানে ২ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং সীসা গলানোর সরঞ্জামসহ ৬টি কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিপণন ও সরবরাহ প্রতিরোধে ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত ৪৭৭টি মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৯০৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং আদায় করা হয় ৬৭ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা। একই সঙ্গে প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭০৭ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।
শব্দদূষণবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ১০ জুলাই ঢাকার মিরপুর ও কিশোরগঞ্জে পরিচালিত দুটি মোবাইল কোর্টে ৬টি মামলায় ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই দিনে কিশোরগঞ্জে আরেকটি মামলায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২৭.৪ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া, নারায়ণগঞ্জ ও পাবনায় পরিচালিত দুটি পৃথক অভিযানে দুটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরিবেশ রক্ষায় এই ধরনের অভিযান আরও জোরালোভাবে অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম