সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা চালুর সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনাধীন রয়েছে এবং এর সম্ভাবনা মোটামুটি ভালো।
মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, 'মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি অ্যাকটিভলি কনসিডার করছি। এ নিয়ে একটি কমিটি কাজ করছে। তারা তাদের প্রস্তাবনা আমাদের দেবে। এরপর দেখা যাবে কখন থেকে দেওয়া যাবে, কত দিতে পারবো।'
তিনি আরও জানান, এখনই নির্দিষ্ট সময় কিংবা টাকার অঙ্ক বলা সম্ভব নয়।
সাংবাদিকরা যখন ১০-১৫ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার গুঞ্জন সম্পর্কে জানতে চান, অর্থ উপদেষ্টা বলেন,'আমি বিষয়টা এখনও ওয়ার্কআউট করছি। সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পর এটি কেবিনেটে যাবে, প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের পরই তা জানানো যাবে।'
সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি।'
তবে সরাসরি ‘সুখবর’ বলা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি সংযত উত্তর দেন, এমন কিছু বলার দরকার নেই, তবে বিবেচনা করবো।'
স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি বন্ধ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, 'স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হবে। আজই তারা আমার সঙ্গে দেখা করবে। আমি এখনই কিছু বলতে পারছি না।'
আজকে বিকেলে তো আপনার কাছে এনবিআর আসবে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, 'এনবিআরের বিষয়ে আমি কিছু বলবো না। একইসঙ্গে এনবিআরকেও মন্ত্রণালয়ে কিছু বলতে দেবো না। যদি কাভারেজ করেন তাদের ইসে তাহলে আমি পানিশমেন্টের ব্যবস্থা নেবো। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকতে যখন ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের স্পষ্ট বলে দিতাম কোনো ব্যাংকার, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ে কিছু বলবেন না।'
তিনি বলেন, 'আতিউর রহমান সময়ে দেখেছি চেয়ারম্যানরা কথা বলে আমি এই করেছি সেই করেছি। আমি কিন্তু এগুলো অ্যালাউ করবো না। এনবিআর যদি কিছু বলতে চায় বাইরে গিয়ে বলবে।'
সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, 'আজকের বৈঠকে আমরা এলএনজিসহ কয়েকটি পণ্য তাড়াতাড়ি আমদানি করার অনুমোদন দিয়েছি।'
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ/মুসা