শিল্পে সঠিক পরিমাপের বিকল্প নেই। বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার মোড়কে কমবেশি ওজন দেওয়া হয়। এতে ভোক্তা ও শিল্পের ক্ষতি হয়। সঠিক ওজন দিলে শিল্প লাভবান হবে। আর সবকিছুতে সঠিক পরিমাপ করা গেলে সবাই লাভবান হবে। গতকাল বিশ্ব পরিমাপ দিবস উপলক্ষে বিআইএম অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। সভায় প্রধান অতিথি ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল হাসিব চৌধুরী। বিশেষ বক্তা ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান এবং ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম। সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর। সভায় প্রফেসর ড. আবদুল হাসিব চৌধুরী বলেন, সঠিক পরিমাপ ছাড়া কোনো কিছু তৈরি করা সম্ভব নয়। সীমিত জমির ভালো ব্যবহার করতে হলে সঠিক পরিমাপ জানতে হবে।
কোন জমিতে কী ধরনের ফসল ভালো হয় তা জানতে হলেও পরিমাপের ভূমিকা রয়েছে। শিল্পে পরিমাপের বিকল্প নেই। খরচ কমানো থেকে শুরু করে সব সেক্টরে সঠিক পরিমাপের প্রয়োজন হয়। সঠিক পরিমাপ করা গেলে কোম্পানি বড় ধরনের লাভবান হয়।
বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম বলেন, সঠিক পরিমাপের পণ্য বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব পৌঁছায়। কিছু কোম্পানি ভেজালপণ্য গ্রামীণ প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিক্রি করে থাকে। ভেজাল পণ্যের ভিড়ে হারিয়ে যায় আসল পণ্য। ভেজাল পণ্যের মান ঠিক থাকে না। আবার লাগেজ পার্টির পণ্য বাজারে সয়লাব হয়ে যায়, তখন দেশি পণ্য চরম প্রতিযোগিতায় পড়ে যায়।
বিশ্ব পরিমাপ দিবস উপলক্ষে জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এরই অংশ হিসেবে বিএসটিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ের পাশাপাশি বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ে আলোচনা সভাসহ প্রচার-প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া, রাজধানীসহ বিভাগীয় ও জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড লাগানো হয়।