ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, শিশুশ্রম আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। এমনকি শহরাঞ্চলেও এখন গৃহকর্মে শিশুশ্রমিক অনেক কম দেখা যায়। সরকার এনজিওদের সুপারিশ অনুযায়ী শিশুশ্রম নির্মূলে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে আমাদের বুঝতে হবে যে শিশুশ্রম একেবারে নিরসন করা সম্ভব নয়। আমাদেরকে ধাপে ধাপে এগুতে হবে। শিশুশ্রমের কর্মক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে তা নির্মূলের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আজ ‘আইএলও কনভেনশন ১৮২-এর বাস্তবায়ন, সমস্যা এবং সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম (বিএসএএফ) যৌথভাবে র ‘টেরে ডেস হোমস, নেদারল্যান্ডস’ ‘গ্লোবাল মার্চ অ্যাগেইনস্ট চাইল্ড লেবার’-এর সহায়তায় এ সভার আয়োজন করে। বক্তব্য রাখেন শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের চেয়ারপারসন শামসুল হক টুকু এমপি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুমু পৌতিয়ানিন, শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আব্দুস শাহীদ মাহমুদ প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ‘ইনসিডিন বাংলাদেশে’র নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী খান।
প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশে গত ১০ বছরে শিশুশ্রম অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হলেও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুশ্রম উল্লেখযোগ্য ভাবে কমানো সম্ভব হয়নি। এখনো অপ্রতিষ্ঠানিক খাতে অসংখ্য শিশু কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। এই খাতগুলোর পর্যবেক্ষণেরও কোনো সুযোগ নেই।
আইএলও-বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে খুবই উন্নতি লাভ করছে, তবে এর মধ্যে অনেক কর্মক্ষেত্র আছে যেখানে শ্রমজীবীদের কাজের সুযোগ কমে যাচ্ছে এবং সেখানেই শিশুশ্রমের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। তাই বাংলাদেশকে আরও বেশি কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে।
শামসুল হক টুকু বলেন, শিশুদের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ বিষয়টি মাথায় রেখে রসকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আব্দুস শাহীদ মাহমুদ বলেন, শুধুমাত্র সরকারের একক উদ্যোগে এই বিপুল পরিমাণ কর্মে নিয়োজিত শিশুদেরকে শ্রম থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার