শিরোনাম
- হজযাত্রীদের প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বার্তা
- ঢাকার ৩৩টি খাল দখল-দূষণ মুক্ত রাখতে সেচ্ছাসেবক নিয়োগ
- সামরিক মহড়ার আগেই ডুবে গেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জাহাজ
- ‘ভাইয়ার দিকে খেয়াল রেখো’, বিমানে ওঠার আগে বললেন খালেদা জিয়া
- চসিক মেয়রে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ
- শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে সিরিজ জয়ের অপেক্ষা বাড়ল যুবাদের
- প্যাথলজিক্যাল নমুনা বিদেশে পাঠাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি লাগবে
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
- গুচ্ছভুক্ত ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
- চাঁদপুরে জব্দ করা ৭ নৌকার নিলাম সম্পন্ন
- হাসনাতের গাড়িতে হামলা : গাজীপুরে ১০০ জনের নামে মামলা
- ট্রাম্পের নীতির কঠোর সমালোচনায় ফ্রান্স ও ইইউ
- সিরাজগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে নিহত শহীদ পরিবারে চেক বিতরণ
- ‘শিখতে আসিনি, জিততে এসেছি’, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সোহান
- স্বর্ণের দাম বেড়েছে
- বাড়ির উঠানে বৃদ্ধকে শুঁড় দিয়ে আছড়ে মারল হাতি
- বেইলি রোডের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার
- সুন্দরবনে মহাবিপন্ন বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের ৬৫ বাচ্চার জন্ম
- পাকিস্তানে জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯
- পেহেলগাঁও ইস্যু, আন্তর্জাতিক তদন্তে ব্রিটেনকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর
অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব উত্তরণে চারটি মূল কার্যক্রম নির্ধারণ
অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইসের কারণে গোটা বিশ্ব আজ অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা আভাস দিচ্ছে। আমরা বিশ্ব ব্যবস্থার বাইরে নই। বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা আমাদের অর্থনীতির জন্য দুঃচিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অর্থনীতির উপর সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব উত্তরণে আমরা চারটি মূল কার্যক্রম নির্ধারণ করেছি।
আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পহেলা বৈশাখ ১৪২৭ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত কার্যক্রমগুলো অবিলম্বে অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের অবশিষ্ট তিন মাসে, স্বল্প-মেয়াদে -আগামী অর্থবছরে এবং মধ্য-মেয়াদে - পরবর্তী তিন অর্থবছরে- এই তিন পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে। চারটি কার্যক্রম হচ্ছে:
(১) সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা : সরকরি ব্যয়ের ক্ষেত্রে ‘কর্মসৃজনকেই’ প্রাধান্য দেওয়া হবে।
(২) আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ প্রণয়ন : অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করা, শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে বহাল রাখা এবং উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অক্ষুন্ন রাখাই হলো আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের মূল উদ্দেশ্য।
(৩) সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি: দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী জনগণ, দিনমজুর এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা পূরণে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করা হবে।
(৪) মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা : অর্থনীতির বিরূপ প্রভাব উত্তরণে মুদ্রা সরবরাহ এমনভাবে বৃদ্ধি করা, যেন মুদ্রাস্ফীতি না ঘটে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমসমূহ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি করোনাভাইরাসজনিত কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে:
(১) স্বল্প-আয়ের মানুষদের বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার জন্য ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ১ লাখ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মোট মূল্য ২ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা।
(২) শহরাঞ্চলে বসবাসরত নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ওএমএস-এর আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিক্রয় কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। আগামী তিন মাসে ৭৪ হাজার মেট্রিক টন চাল এই কার্যক্রমের আওতায় বিতরণ করা হবে। এ জন্য ২৫১ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করতে হবে।
(৩) দিনমজুর, রিক্সা বা ভ্যান চালক, মটর শ্রমিক, নির্মাণ শ্র্রমিক, পত্রিকার হকার, হোটেল শ্র্রমিকসহ অন্যান্য পেশার মানুষ যাঁরা দীর্ঘ ছুটি বা আংশিক লক-ডাউনের ফলে কাজ হারিয়েছেন তাঁদের নামের তালিকা ব্যাংক হিসাবসহ দ্রæত তৈরির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তালিকা প্রণয়ন সম্পন্ন হলে এককালীন নগদ অর্থ সরাসরি তাঁদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হবে। এখাতে ৭৬০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে।
(৪) সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় পরিচালিত ‘বয়স্ক ভাতা’ ও ‘বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের জন্য ভাতা’ কর্মসূচির আওতা সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলায় শতভাগে উন্নীত করা হবে। বাজেটে এর জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ৮১৫ কোটি টাকা।
(৫) জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত অন্যতম কার্যক্রম গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহ নির্মাণ কর্মসূচি দ্রæত বাস্তবায়ন করা হবে। এ বাবদ সর্বমোট ২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। কেউ গৃহহীন থাকবেন না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শিল্পখাতে যে সব আর্থিক প্যাকেজ গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানসমূহের ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা, অতি-ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা, Export Development Fund-এর সুবিধা বাড়ানোর জন্য ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা, Pre-shipment Credit Refinance Scheme- এর আওতায় ৫ হাজার কোটি টাকা এবং রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বিশেষ তহবিল বাবদ ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর