মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় প্রায় ১৫ মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এসময়ে বন্ধ রয়েছে সরাসরি পাঠদান। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা হাতে নেবে।
সোমবার বিকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাপতিত্বে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কাল বিস্তারিত জানাবে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। কেউ কেউ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, বৈঠক নিয়ে ইউজিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়ার আগে গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য না দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে উপস্থিত থাকা একটি সূত্র জানায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে বৈঠকে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। খুব শীঘ্রই শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রক্রিয়ায় টিকাদানের কার্যক্রম শুরু হবে। একই সঙ্গে ইউজিসির জারি করা অনলাইন এবং সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এরপর অন্য শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
জানা গেছে, করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি।
বিকালের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, ইউজিসির বিভিন্ন সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অন্যরা অংশ নেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন