বেতন বৈষম্য দূর করে দ্রুত নবম পে-স্কেল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী জাতীয় ফোরাম। নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত সর্বনিম্ম ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ারও দাবি জানান তারা। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের আহ্বায়ক মো. মিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব শেখ ফরিদ আহম্মেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক কুদ্দুস মোল্লা, জিয়াউর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, মনোয়ার হুসেন কবির ও খান আতাউর রহমান, চুন্নু মিলন, সাহিনুর রহমান, রুনুর জাহান, জুলকার নাইন হিরো প্রমুখ।
ফোরামের আহ্বায়ক পরিষদের সদস্য সচিব শেখ ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ১০ অক্টোবরের মধ্যে দাবির বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ২২ অক্টোবর জেলায়-জেলায় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন, ২৪ অক্টোবর জেলা প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি দেওয়া হবে। তারপরও যদি পদক্ষেপ নিতে না দেখা যায়, তবে ডিসেম্বর মাসে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বক্তারা বলেন, দ্রুত নবম পে-কমিশন গঠন, নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন কমিটিতে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা, নিয়োগবিধি পরিবর্তন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা উন্নীত করাসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে। আউটসোর্সিং প্রথা বাতিলসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচালিত-চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত কর্মচারীদের স্থায়ীরাজস্ব করণ করতে হবে। সকল দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনে কর্মরত কর্মচারীদের সচিবালয়ের ন্যায় পদ-পদবী ও গ্রেড দেওয়ার দাবিও জানান তারা। এ ছাড়া ঝুঁকি ভাতা, টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত সকলকে টেকনিক্যাল স্কেল, অতিরিক্ত কাজের জন্য অভারটাইম ভাতাসহ ১০০ শতাংশ পেনশন সমার্পন ও বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রচলিত প্রহসনের ৫০ টাকা রেশনভাতা বাতিল করে ১১-২০ গ্রেডের সকল কর্মচারীকে বর্তমান বাজার ব্যবস্থা অনুযায়ী রেশন দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ