ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেছেন মামলার বাদী ব্যবসায়ী রাকিব হাসান। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে তিনি এ আবেদন করেন।
রাকিবের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি) একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করেছি। আদালত নথি পর্যালোচনায় আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে, নাসির ও তামিমার বিয়ে অবৈধ বলে প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন নাসির ও তামিমা। এরপরই নাসিরের বিরুদ্ধে অপরের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠে। ২৪ ফেব্রুয়ারি নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে মামলা করেন রাকিব।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি। আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনও রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক