৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:২৭

সক্ষমতা বেড়েছে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের

আরাফাত মুন্না

সক্ষমতা বেড়েছে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের

কম সময়ের মধ্যে বিচারকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে বাড়ানো হয়েছে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা। নতুন ডরমেটরি নির্মাণসহ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে বর্তমানে একসঙ্গে দুই ব্যাচে ৮০ জনের বেশি নবনিযুক্ত বিচারককে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস থেকে বাড়িয়ে চার মাসে উন্নীত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নতুন জনবল নিয়োগের পাশাপাশি প্রশিক্ষণের সুবিধার্থে কম্পিউটারও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে এসব তথ্য। জানা গেছে, রাজধানীর আবদুল গণি সড়কে অবস্থিত বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। মূলত বিচার বিভাগে কর্মরত সব স্তরের বিচারক, আইনজীবী ও বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য পেশাজীবীর পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু হওয়া এ প্রতিষ্ঠানটি এখনো পর্যন্ত ৩২৯টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ে ১০ হাজার ৯৮০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। এর মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের বর্তমান মন্ত্রী আনিসুল হক দায়িত্ব নেওয়ার পরই ৫৭টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে ২ হাজার ৯৭ জনকে বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিচারকরা হলেন বিচার বিভাগের প্রাণ, বিচার বিভাগের প্রধান চালিকাশক্তি। তাই তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিচারকদের দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ফলে এখন একই সঙ্গে দুটি ব্যাচের বিচারকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া যাচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ মামলার জট তা কিন্তু এক দিনে হয়নি। বিচারকরা যদি আরও দক্ষ হন, তাহলে এই জট দ্রুত কমানো সম্ভব। বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন) শেখ মো. মুজাহিদ-উল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্তমান আইনমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অনেক সমস্যা দূর হয়েছে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভবনের দশম তলায় নতুন করে একটি ডরমেটরি নির্মাণ করা হয়েছে। আগে ষষ্ঠ তলায় একটি ডরমেটরি ছিল। প্রশিক্ষণার্থীদের আবাসন বৃদ্ধির ফলে এখন একসঙ্গে দুই ব্যাচে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণার্থীদের সুবিধার্থে ডরমেটরির অধিকাংশ কক্ষে এসি স্থাপন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য নতুন ৩০টি কম্পিউটারও ক্রয় করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর