দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভালো নয় মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশের যা অবস্থা তার সবটুকু প্রকাশ করা হচ্ছে না।
বিদেশ থেকে যেসব ঋণ নেওয়া হচ্ছে তার তথ্যও প্রকাশ করছে না। এখন পর্যন্ত চাপাবাজি করছে এই সরকার। তারা বলছে, অর্থনীতি ভালো আছে। দুই মাস আগে যে ডলারের দাম ৮২ টাকা ছিল, সেটা এখন ১০২ টাকা। এটা কে নিয়ন্ত্রণ করবে? কোনো কিছুই আসলে নিয়ন্ত্রণে নেই।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে সাবেক সংসদ সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর ৭ম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরাম এ সভার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সরকার কথায় কথায় বলছে- শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি এ দেশে হবে না। শ্রীলঙ্কায় যা ঘটেছে তা হলো পরিবারতন্ত্র এবং স্বৈরশাসন। তারা ১৮ বছর চালিয়েছে। তাদের সেনাপ্রধান-পুলিশ কিন্তু সরকারের বাইরে ছিল না। যখন অর্থনৈতিকভাবে শ্রীলঙ্কা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেল তখন মানুষ রাস্তায় নেমেছে।’
‘তখন সেনাপ্রধান-পুলিশ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষা করতে পারেনি। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার চেয়ে অনেক খারাপ অবস্থায় আছে। বাকি আছে মানুষের রাস্তায় নামা। এটার ফয়সালা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়াকে নাকি ঠুস করে পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী যখন কথা বলেন তখন সেটা নির্দেশ। খালেদা জিয়া জনগণের নেত্রী। টুস করে তাকে ফেলে দেওয়ার কথা বলে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সেই নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় থেকেও ভালো নেই। তাদের ঘুম হয় না। ঘুম হয় না বলেই গায়ের জোরে হোক বা অবৈধভাবে হোক, শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী। তার মুখে অসংলগ্ন, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য আসে। যদি আগের রাতে ঘুম হতো তাহলে তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারতেন না। এই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য বা নির্দেশের জন্য অনতিবিলম্বে জনগণের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। তা না হলে খালেদা জিয়াকে হত্যার হুকুমকারী, নির্দেশক হিসেবে একদিন এ দেশের জনগণ তার বিচার করবে।
সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরামের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত