পদ্মা সেতু নিয়ে বিরোধিতা ও জিএসপি সুবিধা বাতিল চেয়ে চিঠি লেখায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া ২০১৩ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে একটি নিবন্ধনে বলেছিলেন, পদ্মা সেতু অর্থায়ন বন্ধ করে বিশ্বব্যাংক সঠিক কাজ করেছে। আর বিএনপির মহাসচিব জিএসপি সুবিধা বাতিল চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন। তারা দেশবিরোধী। তাদের জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
সোমবার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এসএম কামাল হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতু যেন না হয় সেজন্য ড. ইউনূস ও খালেদা জিয়ারা নানা ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। পদ্মা সেতুর সঙ্গে বাংলাদেশের সুনাম জড়িত।’
আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ নেই। আন্দোলনের মধ্যে আওয়ামী লীগের জন্ম। আন্দোলন কত প্রকার কী কী আওয়ামী লীগ জানে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের প্রস্ততি নিন। জনগণের কাছে গিয়ে ক্ষমা চান। সামনে প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন হোক। সে নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। উন্নয়নের কারণেই দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে, নৌকাকে ভোট দেবে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ড. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা এমপি ও আব্দুল আউয়াল শামীম, প্রকৌশলী তানভির শাকিল জয় এমপি ও আবদুল মমিন মন্ডল এমপি, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেনসহ জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
উদ্বোধক ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান, প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস ছামাদ তালুকদার।
এদিকে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি (সদ্য সাবেক) বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলখোশ আলী সভাপতিত্ব করেন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক সরকার সঞ্চালনা করেন। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর সিরাজগঞ্জের তাঁত শিল্পসমৃদ্ধ বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমাবার দুপুরে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল মমিন মন্ডলকে সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাসকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ